দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওজন কমানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওজন কমানোর জন্য পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়া কমানো সঠিক উপায় নয়। বরং ডায়েটে যোগ করুন নেগেটিভ ক্যালরিবিশিষ্ট কিছু খাবার।
আমরা সবাই মনে করি ওজন কমানো একটি অত্যন্ত কঠিন কাজ। কেও কেও আবার ভাবেন মেদ ঝরাতে হলে খাবার কম খাওয়া জরুরি। অথচ বিশেষজ্ঞরা প্রত্যেকেই বলছেন যে, ওজন কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণে ভরপুর খাওয়া কমানো মোটেও সঠিক উপায় নয়। বরং ডায়েটে আপনি যুক্ত করুন নেগেটিভ ক্যালরিবিশিষ্ট খাবার। এই নেতিবাচক ক্যালোরিযুক্ত খাবার হজম করার সময় শরীরের ভেতরের প্রচুর ক্যালরি পুড়ে গিয়ে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে। এই প্রক্রিয়া নিয়মিত হতে থাকলে আপনার ওজন কখনও বাড়তে পারবে না। যে কারণে খাবার কম না খেয়ে অতিরিক্ত নেতিবাচক ক্যালরিবিশিষ্ট খাবার এখন থেকে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন।
আপেল: আপেল হলো ফাইবার-সমৃদ্ধ একটি পরিচিত ফল যা আপনার অতিরিক্ত মেদ কমিয়ে ফেলবে খুব সহজেই। আপেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে পেকটিন, এটি এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার যা ওজন কমাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এটি শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে। আপেলে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি দিতে পারে।
গাজর: মূলত পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, ভিটামিন এ, ই, সি এবং কে সমৃদ্ধ হলো এই গাজর। এটি কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতেও সাহায্য করে থাকে। এটি খাওয়ার সময় শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্যালরিও পুড়তে থাকে। যে কারণে ডায়েটে আপনি রাখতেই পারেন গাজর।
শসা: পানি, খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, ভিটামিন সি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজগুলোর সমৃদ্ধির জন্য পরিচিত এই শসা। এগুলো ডায়াবেটিসকে দূরে রাখতে ও শরীরকে হাই়ড্রেটেড রাখতেও সাহায্য করে। মাত্র ১৫ ক্যালরিবিশিষ্ট শসা বিশ্বের বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিদরা খেতে উপদেশ দিয়ে থাকেন। কারণ হলো এটি নেগেটিভ ক্যালরিতে পরিপূর্ণ থাকে।
টমেটো: টমেটোর প্রতি ১০০ গ্রামে সর্বনিম্ন ১৯ ক্যালোরি বিদ্যমান। খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি-এর রসালো ও সুস্বাদু উৎস হওয়া ছাড়াও এতে লাইকোপেনও রয়েছে। এটি একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ত্বককে ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি হতে রক্ষা করে। ওজন কমাতেও সক্ষম এই টমেটো। আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে এটি।
বেরি: সব বয়সের মানুষই ইদানীং বেরি নামক ফলের ভক্ত হয়ে গেছেন। ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি কিংবা স্ট্রবেরি আপনি স্যালাড, স্মুদি, ওটমিল ও অন্যান্য খাবারে মিশিয়েও নিতে পারেন। বেরিতে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খনিজও রয়েছে। আধ কাপ বেরিতে মাত্র ৩২ ক্যালোরি থাকে। তাই এটি একটি দুর্দান্ত নেতিবাচক ক্যালোরিসম্পন্ন খাবার হিসেবে খেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।