দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা যখন আকাশের দিকে না তাকিয়েই বলে ফেলি, এই মুহূর্তে ঠিক কতোটি বিমান আকাশে ওড়ছে। তখন বিস্ময়ের সীমা থাকে না। তবে এটি এখন বাস্তব। কিন্তু কীভাবে?
যে কোনো দিনের নির্দিষ্ট সময় বা বছরের নির্দিষ্ট দিনের উপর নির্ভর করেই, যে কোনো মুহূর্তে ৮ হাজার থেকে ২০ হাজার বিমান আকাশে উড়তে পারে। ফ্লাইটরাডার২৪ এর মাধ্যমে খুব সহজেই এটি নিরূপণ করা যাবে। এটি এমন একটি অ্যাপ যা রিয়েল টাইমেই ফ্লাইট ট্র্যাক করে।
গ্রীষ্মকালে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিমানকে আকাশে উড়তে দেখা গেছে। বিশেষ করে বিকাল ৪ টার দিকে। কারণ হলো পশ্চিম ইউরোপীয় সময় অনুযায়ী, তখন উত্তর আমেরিকা (যেখানে তখন সকাল হবে) ও ইউরোপের (যেখানে তখন বিকেল বা সন্ধ্যার শুরু হবে) ফ্লাইটগুলি সক্রিয় থাকবে। তবে বছরের ব্যস্ততম দিনটি সাধারণত জুলাই কিংবা আগস্টের বৃহস্পতিবার কিংবা শুক্রবার হয়ে থাকে।
আপনি যেখানেই থাকুন বা যে মোবাইল সিস্টেমই ব্যবহার করুন না কেনো, (হতে পারে সেটা আইওএস কিংবা অ্যান্ড্রয়েড) সেরা ফ্লাইট ট্র্যাকার অ্যাপ হিসেবে ফ্লাইটরাডার২৪ এর বিকল্প কোথাও পাবেন না। ১৩০ টিরও বেশি দেশে ইতিমধ্যেই নাম্বার ওয়ান অ্যাপের খেতাব অর্জন করেছে এই ফ্লাইটরাডার২৪।
অ্যাপটির বৈশিষ্ট্য কী?
# বিশদ মানচিত্রে রিয়েল-টাইমে বিশ্বজুড়ে ফ্লাইট ট্রাভেল দেখা যাবে।
# পাইলটরা কীভাবে দেখেন থ্রিডি ভিউয়ের মাধ্যমে সেটিও দেখা যায়।
# ফ্লাইট নম্বর, কল সাইন, রুট, এয়ারলাইন অনুসন্ধানও করা যায়।
# প্রতিটি ফ্লাইটের বিস্তারিত তথ্য যেমন বিমানের বিবরণ, রুট, আগমনের আনুমানিক সময়, প্রস্থানের প্রকৃত সময়, গতি, উচ্চতা, বিমানের উচ্চ-রেজু্য়লিউশনের ছবিও পাওয়া সম্ভব।
# ডিভাইসটিকে আকাশের দিকে নির্দেশ করে এআর ভিউয়ের মাধ্যমে কাছাকাছি কোন ফ্লাইটগুলো রয়েছে তা খুঁজে বের করা যাবে।
# অতীতের ফ্লাইটের ডেটাও দেখা যায়।
# ফিল্টার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ফ্লাইটটির খোঁজও করা যায়।
# বিমানবন্দরের আগমন-প্রস্থান বোর্ড, ফ্লাইট স্ট্যাটাস, বর্তমান বিলম্বের পরিসংখ্যান, বর্তমান আবহাওয়ার অবস্থা পিনে ট্যাপ করেও দেখা সম্ভব।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।