দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরিবর্তিত হচ্ছে নারী-পুরুষের দৈহিক প্রক্রিয়া। সৃষ্টি জগতের নানা গবেষণায় এবার উঠে এসেছে এক নতুন তথ্য। এখন থেকে নিয়ম পাল্টে যাচ্ছে। পুরুষের হবে ডিম্বানু আর নারীর হবে শুক্রাণু।
সৃষ্টির নিয়ম অনুযায়ী পুরুষের দেহে তৈরি হয় শুক্রাণু আর নারীর দেহে থাকে ডিম্বাণু। পুরুষের শুক্রাণু নারীর ডিম্বাণুতে আশ্রয় পেলেই তৈরি হয় নতুন প্রাণ। এবার শুধু পুরুষ নয়, নারীর দেহ থেকেও তৈরি হবে শুক্রাণু আর নারীর পরিবর্তে পুরুষের দেহ থেকে আসবে ডিম্বাণু। এভাবে ভবিষ্যতে প্রকৃতিপ্রদত্ত দৈহিক প্রক্রিয়া পাল্টে দেওয়া সম্ভব হবে বলে দাবি করেছেন জাপানের বিজ্ঞানীরা। জাপানের কিয়োটো ইউনিভার্সিটির গবেষক কাতসুহিকো হায়াশি তার গবেষণাপত্রে জানান, তারা ইঁদুরের ত্বকের কোষ নিয়ে তা থেকে ভ্রূণের প্রাককালীন কোষ (প্রাইমোরডিয়াল জার্ম কোষ -পিজিসি) তৈরি করেছেন। এ প্রাইমোরডিয়াল জার্ম কোষই নারী কিংবা পুরুষের জননকোষের সাধারণ পূর্বাবস্থা। যে কোষগুলো নারীদেহে ডিম্বাণু এবং পুরুষদেহে শুক্রাণুতে রূপান্তরিত হয়।
গবেষক কাতসুহিকো হায়াশির মতে, পিজিসি নামে এ জীবন্ত কোষ ব্যবহার করে টেস্টটিউব পদ্ধতিতে ভ্রূণ সৃষ্টি করা সম্ভব।
যদিও প্রাইমোরডিয়াল জার্ম কোষ নিয়ে গবেষকদের এ পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়েই রয়েছে। তবুও এ গবেষণা নিয়ে খুবই আশাবাদী হায়াশি ও গবেষক মিতিনোরি সাইতু। তারা বলছেন, এটি সম্ভব হলে প্রজননের ক্ষেত্রে তা হবে চমকপ্রদ। নতুন দিক খুলে যাবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের। সহজেই বন্ধ্যাত্বের অভিশাপমুক্ত হবেন নারী।
হায়াশি ও সাইতু জানান, তাদের এ গবেষণা সফল হলে বন্ধ্যা নারীর ত্বকের কোষ নিয়ে ডিম্বাণু তৈরির মাধ্যমে সম্ভব হবে সন্তান জন্মদান। তাছাড়া নারী বা পুরুষ যে কারও দেহের ত্বকের কোষ থেকেই ডিম্বাণু বা শুক্রাণু সহজেই তৈরি করা যাবে।
হায়াশি আরও বলেন, এতেই সম্ভব হবে সেই অবাস্তব, নারীর শরীরে তৈরি সম্ভব হবে শুক্রাণু আর পুরুষের শরীরে ডিম্বাণু। তাদের গবেষণাপত্র সায়েন্টিফিক আমেরিকান সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। সূত্র: এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।