দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন নিয়মিত আম খেলে পেটের গোলমাল হবে। হজমের সমস্যার পিছনেও নাকি রয়েছে আম খাওয়ার অভ্যাসই! আসলেও কী তাই? আজ জানুন বিষয়টি।
গরমে পেটের গোলমাল হলেই অনেকেই উপদেশ দিয়ে থাকেন একটি টুকরোও আম মুখে না দেওয়ার জন্য। তবে এই আম কী পেটের জন্য সত্যিই ক্ষতিকর কিছু? এই ফল কী পেট আরও গরম করে? এটি কী হজমের সমস্যা বা়ড়ায়? নানা ধরনের ধারণা রয়েছে অনেকের মধ্যেই। কোনটি ঠিক, তা নিয়ে ধন্দও তৈরি হয় নানা ধরনের। তবে বিজ্ঞান বলছে অন্য কথা।
আম পেটের কোনো ক্ষতি তো করেই না, বরং হজমের ক্ষেত্রে বহু সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করে থাকে এই আম। কারণ হলো এতে থাকে অ্যামিলাসেস জাতীয় এনজাইম। এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
এই ধরনের এনজাইম পেটে খাবার হিসেবে গেলেই তা ছোট ছোট খণ্ডে ভেঙ্গে দিতে পারে। খাদ্য যতো ছোট করে ভাঙা হয়, ততোই খুব বেশি সহজে তা হজম হতে পারে। এই এনজাইম আরও একটি কাজ করতে পারে। এটি গ্লুকোজ কিংবা শর্করা জাতীয় সব খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে থাকে। যে কারণে অপ্রয়োজনীয় শর্করা শরীরের আনাচে-কানাচে জমে থাকার সমস্যাও দূর করে। আম যতো বেশি পাকা হবে, ততোই বেশি সহজে হজম করাতে পারে এই ধরনের শর্করাটি। কারণ পাকা আমে এই ধরনের অনজাইম খুব বেশি সক্রিয় থাকে।
তাছাড়া, আমে অনেক পরিমাণ পানি এবং ফাইবারও থাকে। যে কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হোক কিংবা ডায়রিয়া, সবই কমে যায় আমের গুণে। এক গবেষণায় এমন পাওয়া গিয়েছে যে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তার সম্পূর্ণ সারিয়ে দিতে পারে এই আম। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।