দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীর সুস্থ রাখতে হলে পানির কোনো বিকল্প নেই। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পানির উপর নির্ভর করতে পারেন। তবে কতোটা পরিমাণ পানি খেলে উপকার পাবেন?
উচ্চ রক্তচাপ সমস্যার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শরীরের পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়ার মতো সমস্যা এবং মানসিক উদ্বেগ। এইসব কারণেই শরীরে বাসা বাঁধে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা। আর উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থেকেই জন্ম নেয় হৃদরোগ। তাই রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। বর্তমান সময়ে উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা দিন দিনই বাড়ছে। এক পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বব্যাপী ৩০-৭৯ বছর বয়সিদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেশি দেখা গিয়ে থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ানোর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ আরও অনেক শারীরিক সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
সাধারণত রক্তচাপের কারণে ধমনীর ভিতরের দেওয়ালে থাকা বিভিন্ন কোষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কারণে শরীরে ধমনী সংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপে অস্বাভাবিকতাও দেখা যায়। উচ্চ রক্তচাপের প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের মধ্যেও। যে কারণে পরবর্তীতে স্মৃতিভ্রংশের মতো সমস্যার সৃষ্টিও হতে পারে।
এই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে দৈনন্দিন জীবনে কিছু পরিবর্তন আনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। খাওয়া-দাওয়াতে বিধিনিষেধ ছাড়াও নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে বলেন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে বেশি করে পানি খাওয়ার কথাও বলে থাকেন চিকিৎসকরা। এই রোগে শরীরকে আর্দ্র রাখা প্রয়োজন। শরীরের পানির অভাব ঘটলে সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। শরীর আর্দ্র থাকলে হৃৎপিণ্ড খুব সহজেই রক্ত পাম্প করতে পারে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন- এর এক নির্দেশনা অনুযায়ী জানা যায়, রক্তচাপ এড়াতে বেশি করে পানি খাওয়ার চেয়ে ভালো দাওয়াই আর কিছু হতে পারে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর মতে, বেশি করে পানি খাওয়া ছাড়াও রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে মানসিক চাপ কম করা, ধূমপান না করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। তবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমাতে হলে প্রতিদিন কী পরিমাণ পানি খাওয়া প্রয়োজন সেটি আগে জানতে হবে।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের দিনে অন্তত ৭-৮ গ্লাস পানি খাওয়া প্রয়োজন। পানি রক্ত পরিশুদ্ধ করতেও সাহায্য করে। রক্তে মিশে থাকা বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থগুলো শরীর থেকে বাইরে নির্গত করে এই পানি।
তবে পুষ্টিবিদরা অবশ্য পানি খাওয়ার পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ক্র্যানবেরি রসের উপকারিতার কথা বলেছেন। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফলটি বিভিন্ন প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে। রক্তপ্রবাহকেও উন্নত করে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।