দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে অনেকের মধ্যেই এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়। আর তা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কেমন থাকবে তা নির্ভর করে প্রতিদিন কী খাচ্ছেন তার উপর।
কিছু খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে পারলে নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে এই ধরনের কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা। তাহলে আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাবেন কীভাবে?
প্রতিদিন সকালে অফিস যাওয়ার পূর্বে নিয়ম করে শৌচাগারে যান, তবে তারপরও কিছুতেই সহজ হয় না প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়াটা। কারণ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। যারা এই সমস্যার শিকার হয়েছেন, তাদের এমনিতেই খাবার খেতে হয় মেপে মেপে। বিশেষজ্ঞরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শও দেন। সেই সঙ্গে, এমন কিছু খাবারও রয়েছে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগলে যেগুলো এড়িয়ে চলায় সমীচীন।
কী সেইসব খাবার?
রেড মিট
আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে রেড মিট এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। স্বাদে ভালো হলেও এই ধরনের মাংসে ফাইবারের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকে। তাই এমনিতেই এই ধরনের মাংস কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা মানুষদের জন্য মোটেও ভালো নয়। এছাড়াও, সাধারণত মাংস রান্না করার সময় প্রচুর পরিমাণ তেল-মশলা ব্যবহার করা হয়। যা বাড়িয়ে দিতে পারে বদহজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
দুধ ও দুগ্ধজাত পদার্থ
বাঙালিরা দুধে ভাতে থাকার শখ থাকলেও অনেকেই দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার একেবারেই সহ্য করতে পারেন না। বিশেষ করে যারা ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট’, তাদের পক্ষে দুধ এবং দুগ্ধজাত পদার্থ খাওয়া বেশ অসুবিধাজনক। যে কারণে এই ধরনের খাবার খেলে দেখা দিতে পারে হজমের সমস্যাও। যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
ক্যাফিন জাতীয় খাবার
আমাদের মধ্যে অনেকেই ভাবেন যে, চা-কফি পান করলে মলত্যাগের বেগ আসতে পারে। তবে একটি বিষয় হলো এই ধরনের পানীয়ে থাকে ক্যাফিন। এই উপাদানটি শরীরে পানিশূন্যতা কিংবা ডিহাইড্রেশনও তৈরি করতে পারে। দেহে পানির পরিমাণ কমে গেলে তখন বেড়ে যেতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। তবে সকলের শরীরই সমান নয়, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তাই কী খাবেন বা কী খাবেন না, তা জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।