দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা এবং তারপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এই দুইয়ে মিলে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি এখন টালমাটাল অবস্থা। বলা হয়েছে, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশ এ বছর মন্দার কবলে পড়বে।
এই বছর বিশ্ব অর্থনীতি খারাপ সময় পার করবে এমন পূর্বাভাস পূর্বেই দিয়েছিল বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা। তবে সংকট কতোটা গভীর হবে তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল সবার। বিশ্ব অর্থনীতি ক্রমেই মন্দার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের এই মন্দার ধাক্কা পড়ছে উন্নয়নশীল বিশ্বেও। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, নতুন বছরেই মন্দার কবলে পড়বে বিশ্বের অন্ততপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ দেশ। যার প্রভাব পড়বে পুরো বিশ্বে। যেসব দেশ মন্দার কবলে পড়বে না, সেইসব দেশের সাধারণ মানুষও এই ধাক্কা অনুভব করবে।
বিশ্ব অর্থনীতি বিষয়ে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, নতুন বছর তথা ২০২৩ সালের বিশ্ব অর্থনীতি গত বছরের তুলনায় কঠিন এক সময় পার করবে। কারণ হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থনীতির গতি ইতিমধ্যেই মন্থর হয়ে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্যমূল্য ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সুদ হার বেড়ে যাওয়া, চীনে নতুন করে করোনা ভাইরাসের বিস্তার বিশ্ব অর্থনীতিকে আরও হুমকির মুখে ফেলেছে। এতে বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ দেশের অর্থনীতি এ বছর মন্দার কবলে পড়তে পারে বলে সম্প্রতি সিবিএস নিউজের একটি অনুষ্ঠানে আইএমএফের প্রধান এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেন। গত বছরের অক্টোবরে প্রকাশিত আইএমএফের অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমানো হয়। সেই সঙ্গে বলা হয়েছিল যে, ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে বিশ্ব অর্থনীতির পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। সাম্প্রতিক সময় ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে আশঙ্কাও।
আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন, এ বছর যেসব দেশ মন্দার কবলে পড়বে না, সেইসব দেশের মানুষও মন্দার ধাক্কা অনুভব করবে। তবে ইউরোপ কোনোভাবেই মন্দা এড়াতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি মন্দার একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হওয়ার অর্থই হলো চীন, ভিয়েতনামসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও তার প্রভাব পড়বে। কারণ হলো, এইসব দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানির চাহিদাও কমে যাবে। তাছাড়াও উচ্চ সুদের কারণে ব্যবসায়ীদের ঋণ গ্রহণের প্রবণতাও কমে যাবে। যে কারণে ব্যবসায়ী এবং শিল্পোদ্যোক্তারা ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত হবেন। ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের অর্থনীতির চাকা মন্থর হওয়ায় গত বছরের তুলনায় ২০২৩ সাল ‘আরও কঠিন’ হতে পারে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।