দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হাড়ের যত্ন নিতে ক্যালশিয়াম একটা বড় ভূমিকা পালন করে। এটির ঘাটতি হাড়ের ক্ষয়ের অন্যতম কারণ, তবে একমাত্র নয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েকটি খাবার নিয়মিত খেলে হাড় ক্ষয়ের আশঙ্কা দ্বিগুণ হতে পারে। কী সেই সব খাবার?
অফিসে একটানা ৯-১০ ঘণ্টা বসে বসে কাজ! কর্মব্যস্ততার মধ্যেও কখনও কখনও আসন ছেড়ে ওঠার সময়ই হয় না। যে কারণে শরীরের হাড়, স্নায়ু সবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। অস্টিয়োপিনিয়া, অস্টিয়োপোরোসিস, অস্টিয়োআর্থ্রাইটিস- এইসব অসুখ তো বটেই, সঙ্গে হাড়ের সন্ধিতে নানা জটিলতাও আসতে পারে। স্নায়ুর নানা সমস্যা এ থেকে হওয়াও অস্বাভাবিক কিছু নয়। পেশিতে টান, ব্যথা এই সব তো প্রায় সময় হয়ই। এমনকি, দীর্ঘ সময় এভাবে বসে বসে থেকে কাজ করায় হাঁটুতে ক্ষয় হতে পারে। হাড়ের যত্ন নিতে হলে ক্যালশিয়ামের ভূমিকায় প্রধান। এর ঘাটতি তাই হাড় ক্ষয়ের অন্যতম একটি কারণ হলেও সেটিই একমাত্র নয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এমন কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেলে হাড় ক্ষয়ের আশঙ্কাও দ্বিগুণ হয়। হাড় ভালো রাখতে সেই খাবারগুলো এড়িয়ে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
নরম পানীয়
গরমে স্বস্তি পেতে অনেকেই বোতলবন্দি নরম পানীয় খেয়ে থাকেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ধরনের পানীয় ফসফরিক অ্যাসিড থাকে ভরপুর মাত্রায়। মাত্রাতিরিক্ত হারে এই ধরনের পানীয় খাওয়ার কারণে ফসফরিক অ্যাসিড শরীরে জমা হতে থাকে। এই অম্ল উপাদানটিই হলো হাড় ক্ষয়ের অন্যতম কারণ।
প্রাণীজ প্রোটিন
শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হলে প্রাণীজ প্রোটিন অপরিহার্য। পুষ্টিবিদরাও তাইতো প্রতিদিনই পাতে ডিম, মাছ, মাংস রাখতে বলেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস হাড় ক্ষয়ের কারণও হয়ে উঠতে পারে।
চিনি
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় চিনির মাত্রা যতো কমাতে পারবেন ততোই ভালো- মত দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। কারণ হলো অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস কেবল ওবিসিটির সমস্যায় ডেকে আনে না, শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রাও কমে যায়। যে কারণে হাড়ের ক্ষয় হয়।
লবণ
কেবলমাত্র উচ্চ রক্তচাপই নয়, হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস কমাতে হবে। সরাসরি এটি হাড়ের উপর প্রভাব ফেলা ছাড়াও, লবণ শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রাও কমিয়ে দিতে পারে। তাই বেশি বেশি টোকা লবণ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা বন্ধ করা দরকার। রান্নাতেও বেশি লবণ দেবেন না।
কফি
মাথার যন্ত্রণা কমাতে কফির ভূমিকা অনেকেই স্বীকার করে থাকেন। তবে এতে থাকা ক্যাফিন হাড়ের সমস্যার কারণও হতে পারে। কম বয়সে হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমাতে বেশি বেশি কফি না খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।