দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা নিশ্চিত করেছে, ১৯৭৭ সালে প্রেরিত মহাকাশ যান ভয়েজার-১ সৌরজগত এর সীমানা পার হয়ে গেছে। গত কয়েক মাস আগে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল ভয়েজার-১ খুব শিঘ্রই সৌরজগতের সীমানা অতিক্রম করবে। নাসা বিষয়টি শুরুর দিকে অস্বীকার করে।
১৯৭৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ভয়েজার-১ পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। মহাকাশযানটি এই দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে সৌরজগতের নানা অজানা তথ্যের সন্ধান দিয়েছে। সমৃদ্ধ করেছে জ্যোতির্বিজ্ঞান। ভয়েজার মহাশূণ্যের এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে সেখান থেকে কোন তথ্য পাঠাতে পৃথিবীতে আসতে সময় নেয় ১৭ ঘন্টা। ভয়েজার চলতে চলতে বর্তমানে এমন এক অবস্থানে পৌঁছেছে সেখানে সৌরজগত এর কেন্দ্র সূর্য অপেক্ষা অন্য কোন বস্তু আকর্ষণ বল বেশি কাজ করছে। নাসা নিশ্চিত হতে পারছে না এই নতুন আকর্ষণ বলটি মূলত কিসের।
গত আগস্ট মাসে ভয়েজার যখন মহাজাগতিক অপ্রত্যাশিত অঞ্চল অতিক্রম করে যাচ্ছিল, তখন নাসা অপ্রত্যাশিত অঞ্চলটির মহাজাগতিক বল কিসের তা নিশ্চিত করতে পারে নি। চার্জিত কণার একটি বিশেষ অঞ্চলে ভয়েজার অবস্থান করছিল বলে নাসা জানায়। তারা এটাও জানায়, সূর্য নিঃসৃত কণিকার প্রবাহ কেবল বর্হিমুখী না হয়ে পার্শ্বমুখী হচ্ছে। এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করে বলা যায় ভয়েজার সৌরজগত এর সীমানায় প্রায় শেষ পযায়ে ছিল। সৌরজগত এর শেষ সীমানা বিষয়ে বিজ্ঞানীরা খুব বেশি কিছু জানতে পারেন নি।
পুলকিত হবার মতন বিষয়, মানব সৃষ্ট যান সৌরজগত সীমানা পেরিয়ে দূর কোন নক্ষত্রের আকর্ষণে ছুটে চলবে। কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে ভয়েজার এর যাত্রা অসীমের পথে অব্যাহত থাকবে।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল