দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেটের মেদ কমানোর একেবারেই যে কোনও পথ নেই, তা অবশ্য নয়। বলিউড অভিনেত্রী তাপসী পন্নুর পুষ্টিবিদ মুনমুন গনেরিওয়াল তেমনটিই জানিয়েছেন।
বাড়তি ওজন নিয়ে না হলেও, পেটের মেদ নিয়ে অস্বস্তিতে থাকেন এমন লোকের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তবে পেটের মেদ কমানো কিন্তু এতো সহজ নয়। ডায়েটই হোক বা কঠোর শরীরচর্চায় হোক, পেটের মেদ খুব সহজে ঝরতে চায় না। খাওয়া-দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করেও তেমন কোনও ভালো সুফল পাওয়া যায় না। ক্রমশ স্ফীত হতে থাকে মধ্যপ্রদেশ অর্থাৎ পেটের মেদ। তবে পেটের মেদ কমানোর যে একেবারেই কোনও পথ নেই, তা অবশ্য নয়। মুনমুন তাঁর ইনস্টাগ্রামের পাতায় পেটের মেদ কমানোর কয়েকটি উপায়ও জানিয়েছেন। নিয়ম করে সেগুলো মেনে চললে উপকার পাবেন।
# কখনও দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় বসে থাকবেন না। ১০ মিনিট অন্তর অন্তর একটু হাঁটাচলা করে নিন। ভারি খাবার খাওয়ার পর বসে থাকবেন না। একটু হাঁটলেই পেটে মেদ জমা হতেই পারবে না।
# ঠাণ্ডা পানি একেবারেই খাবেন না। অত্যধিক ঠাণ্ডা পানি খেলে পেটে মেদ জমা হওয়ার আশঙ্কাও থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই ঠাণ্ডা পানি যতো কম খাওয়া যায়, ততোই মঙ্গল। বরং ঈষদুষ্ণ পানি খান। পেটের জমে থাকা মেদ আস্তে আস্তে গলে যাবে।
# পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রাম নিন। বেশি পরিশ্রমের কারণেও অনেক সময় পেটে মেদ জমতে পারে। প্রতিদিন সকালে ধ্যান করলেও পেটের মেদ কমে যেতে পারে।
# আপনার পেট কখনও খালি রাখবেন না। খালি পেটে বেশিক্ষণ থাকলে পেটে মেদ জমার আশঙ্কাও থাকে। তাই প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর অন্তর খাবার খান।
# বাইরের খাবার খাওয়া বন্ধ করাটা জরুরি। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খেলে ওজন বাড়বে, সেইসঙ্গে পেটেও মেদ জমবে। তাই টানটান উদর পেতে বাড়ির খাবারেই ভরসা রাখতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org