দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কানাডার আলবার্টায় একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ জুলাই) কানাডা পুলিশ নিশ্চিত করে যে, চালক ছাড়াও বিমানের সকল যাত্রীই নিহত হয়েছেন। -খবর বিবিসির।
কানাডা পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে ক্যালগ্যারির স্প্রিংব্যাঙ্ক বিমানবন্দর হতে ওই বিমানটি রওনা দেয়। গন্তব্যস্থল ছিল ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সালমন আর্ম। রাত ১টা নাগাদ কানাডার জয়েন্ট রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের তরফ হতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারা জানান, বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিমানটিকে খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছে না।
কানাডা পুলিশ এর পর নিখোঁজ বিমানটির সন্ধানে অপর একটি বিমান পাঠায়। তারা ক্যালগ্যারি থেকে অন্তত ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত পাহাড় মাউন্ট বোগার্টে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান।
বিমানের খোঁজ মিলতেই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। তবে বিমানটির কোনও যাত্রীকেই জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়নি। পাহাড়ের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিমানটি ভেঙে পড়ে। ভিতরে থাকা সকলেই এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির একটিই ইঞ্জিন ছিল। সিঙ্গেল ইঞ্জিন পিপার পিএ-৩২ বিমানটি আকারে অনেকটা ছোট। ছ’জনকেই বহন করার ক্ষমতা ছিল ওই বিমানের। কীভাবে কোন পরিস্থিতিতে বিমানটি ভেঙে পড়লো, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে কানাডা পুলিশ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org