দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড এ জায়গা করে নিলো বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদে গাড়ি। আকারে ছোট এবং জ্বালানী সাশ্রয়ী গাড়িটি রাস্তায় চলার বৈধতার সনদও পেয়েছে।
আমেরিকার টেক্সাসের গাড়ি নির্মাতা Austin Coulson গাড়িটি ডিজাইন করেছেন। গাড়িটি উচ্চতায় ২৫ ইঞ্চি (৬৩.৫ সেমি), প্রস্থে ২৫.৭৫ ইঞ্চি (৬৫.৪১ সেমি) এবং দৈর্ঘ্যে মাত্র ৪৯.৭৫ ইঞ্চি (১২৬.৩৭ সেমি)। গাড়িটি পাবলিক রাস্তায় চালানোর লাইসেন্স করা হয়েছে। রাস্তায় চালানোর ক্ষেত্রে এই গাড়ির গতি নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটার এর অধিক গতিতে এই গাড়ি রাস্তায় চলতে পারবে না।
পাবলিক রাস্তায় চালানোর লাইসেন্স পেতে গাড়ি কর্তৃপক্ষকে কম কাঠখোড় পোড়াতে হয় নি। আমেরিকার রোড এবং বৈধ নিয়ম কানুন অনুসরণ করে গাড়িটি ডিজাইন করতে হয়েছে। গাড়ির সামনে হেড লাইট তথা সম্মুখ আলোক ব্যবস্থা এবং সিট বেল্ট এর ব্যবস্থা করতে হয়েছে। গাড়িটি ছোট আকৃতিতে তৈরি করার জন্য এর নির্মাতা অস্টিনকে মূল ইঞ্জিনকে বেশ সংকুচিত করে বানাতে হয়। ইঞ্জিন ছোট আকৃতি বানানো সম্ভব না হলে হয়তো গাড়ির আকৃতি এতটা ছোট আকারে করা সম্ভব হত না। গাড়িটিতে একাধিক যাত্রী বসা সম্ভব নয়। একজন চালকের বসার ব্যবস্থাটুকু শুধু রয়েছে।
অস্টিন জানান, গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড এ নাম লেখার জন্য নিয়ম কানুনগুলো যথাযথভাবে গাড়িটি পূর্ণ করেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গাড়িটির গ্যাস ট্যাংক এ আধ গ্যালন জ্বালানী রাখার ব্যবস্থা আছে। এই আধ গ্যালন জ্বালানীতে গাড়িটি প্রায় সাড়ে ২২ মাইল এর মতন চলতে পারে। নতুন করে জ্বালানী পূর্ণ করার আগ পর্যন্ত এই দূরত্ব গাড়িটি পার হতে পারে।
গাড়িটির নির্মাতা অস্টিন এর বাণিজ্যিক উৎপাদন বিষয়ে এখনো পরিকল্পনা করেননি। তিনি গাড়িটি নির্মাণ করেছেন এবং গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড এ এটা জায়গা করে নিয়েছে। উল্লেখ্য বর্তমান অটো শিল্পে ছোট আকারের গাড়ি বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। পার্কিং জায়গা কম লাগা, জ্বালানী সাশ্রয়ীসহ নানা কারণে ছোট আকৃতির গাড়ির জনপ্রিয়তা আগামী ২০ বছরে আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সবচেয়ে ছোট আকৃতির গাড়ি নির্মাণ মানুষের বর্তমান চাহিদার বিষয়টি ইঙ্গিত করে।
তথ্যসূত্র: PopSci