দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ সম্পর্কে আরও সচেতনতা বৃদ্ধিতে ইয়ং সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড চালু করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)।
প্রতি বছরের ২৬ অক্টোবর বৈশ্বিকভাবে সাসটেইনেবিলিটি দিবস পালন করা হয়। এই বছরের প্রতিপাদ্য #বিটপ্লাস্টিকপল্যুশন। এই প্রতিপাদ্যের সাথে মিল রেখে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবচেয়ে সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী ধারণার প্রকল্পগুলোকে এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
আইএসডি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সচেতনতা বাড়াতে কার্যকর ও উদ্ভাবনী উপায় নিয়ে কাজ করছে। এসডিজি’র যেকোনো একটি লক্ষ্যমাত্রার সাথে মিলে যায় এমন টেকসই ও কার্যকর প্রকল্প স্কুলে প্রদর্শনের ওপর আইএসডি’র শিক্ষার্থীদের পুরস্কৃত করা হবে।
এই বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার ডিরেক্টর স্টিভ ক্যাল্যান্ড-স্কোবল বলেন, “আমাদের পৃথিবীর প্রাকৃতিক সম্পদ ধীরে ধীরে নিঃশেষ হয়ে আসছে। পাশাপাশি, আমাদের আগের করা কাজের বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাবও মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
আমাদের এই কার্যক্রম আইএসডির শিক্ষার্থীদের জ্ঞান এবং উদ্যমসহ গড়ে তুলবে, যা তাদের সচেতন বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে এসডিজি নিয়ে বুঝতে ও এর সাথে সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের শিক্ষার্থীরা সাসটেইনেবিলিটি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে অসাধারণ এবং অনন্য চিন্তাভাবনা ও উদ্যোগের বিকাশ ঘটিয়েছে। আমরা আইএসডি ক্যাম্পাসে এ বছরের শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই বিষয়টি উদযাপন করবো”।
উল্লেখ্য, আইএসডিতে একটি গ্রিন কমিটি রয়েছে যারা কমিউনিটির সকল ক্ষেত্রে সাসটেইনেবিলিটিকে একটি কেন্দ্রীয় মূল্যবোধ ও অনুশীলন হিসেবে সামনে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org