দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ছবিতেই রয়েছে একটি বিড়াল। আপনি কী সেটি খুঁজে বের করতে পারবেন?প্রয়োজন হলে ছবির উপর দুই আঙুল দিয়ে টেনে মোবাইলের পর্দায় বড় করে দেখতে পারেন এই ছবিটি। খুঁজে পেলে বুঝবেন আপনার দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ।
চোখ ধাঁধানো দুনিয়ায় চোখের ধাঁধার কদর একেবারে কম নয়। অনেকেই মাঝে-মধ্যে দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা নিতে ও দিতে চান। তাতে আত্নবিশ্বাস যেমন বেড়ে যায়, তেমনি নিজের শক্তি ও দুর্বলতার প্রমাণও পাওয়া যায় হাতে নাতে। সুযোগ আসে সময় থাকতে শুধরে নেওয়ার। অপটিকাল ইল্যুশন কিংবা চোখ ধাঁধানো ধাঁধা সেই আত্মনিরীক্ষায় হয়ে উঠতে পারে এক সহায়ক। সম্প্রতি তেমন একটি ছবি ধাঁধাপ্রেমীদের মনে দাগ কেটেছে। যারা পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক তাদের এই ছবি থেকে খুঁজে বের করতে হবে বিড়ালকে।
এটি কিন্তু খুবই সাধারণ একটি ছবি। খুব বেশি বিষয়বস্তু নেই এতে। সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জনৈকা তরুণী। তার পরনে জিন্স ও জ্যাকেট কাঁধে একটি ব্যাকপ্যাক পায়ে স্নিকার্স। তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেটি রুক্ষ একটি জমি। তবে তার পাশটিকে কিছু জংলী গাছ-পালাও রয়েছে। বুনো ঘাস, বুনো বাহারে পাতা ফুল ছড়িয়ে ছিটিয়ে গজিয়েছে এই জঙ্গুলের ঝোপে। ব্যাস এটুকুই ক্লু। এই আপাত সাধারণ ছবির মধ্যেই রয়েছে একটি বিড়াল! যা খুব সহজে দৃশ্যমান নয়। তাকেই খুঁজে বের করতে হবে আপনাকে।
ধাঁধাপ্রেমীরা জানিয়েছেন যে, যারা জিনিয়াস, তারাই কেবল মাত্র ২১ সেকেন্ডে সমাধান করে ফেলতে পারবেন ধাঁধাটি। তবে আপনি চাইলে একটু বেশি সময় নিতেই পারেন!
তবে সর্বশেষ কথাটি হলো নিচের ছবিটি দেখে মিলিয়ে নিন আসলে কোথায় ছিলো এই বিড়ালটি!
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org