দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের সবচেয়ে হালকা পোরসেলিন টাইলস ‘কালেসিন্টারফ্লেক্স’ বাংলাদেশে নিয়ে এলো তুরস্কের সবচেয়ে বড় সিরামিক টাইল প্রস্তুতকারক কালে সিরামিকস।
গত রবিবার ঢাকার বনানীর তাজওয়ার সেন্টারে একটি অনুষ্ঠানে উচ্চ মানসম্পন্ন টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যার সামগ্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে কালে সিরামিকস বাংলাদেশ। ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম এই সিরামিক প্রস্তুতকারক এখন থেকে বাংলাদেশে স্যানিটারিওয়্যারের পাশাপাশি কালেসিন্টারফ্লেক্স, ইতালীয় মার্বেল ও রয়্যাল মার্বেল সিরিজসহ তাদের প্রিমিয়ার টাইলসগুলো সরবারহ করবে।
ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন বাংলাদেশে কালের এই যাত্রাকে স্বাগত জানান। এই সময় তিনি বলেন, “এ ধরনের উদ্যোগ দুই দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে আরও সাহায্য করবে এবং বিভিন্ন কোম্পানিকে বিনিয়োগেও উৎসাহিত করবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে মন্তব্য করে তিনি তুরস্কের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ভালো ব্যবসা করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কালে সিরামিক বাংলাদেশের সিরামিক শিল্পে ঐতিহ্য, উদ্ভাবন ও স্থায়িত্বের সমন্বয়ে শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। বাংলাদেশে যাত্রা শুরুর মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি দেশের স্থপতি, ইন্টেরিওর ডিজাইনার এবং বাড়ি-মালিকদের টাইলস ও স্যানিটারিওয়্যারের জগতে এক নতুন এবং আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
শান্তা লাইফস্টাইলের প্রধান নির্বাহী এবং কালে এর লোকাল পার্টনার দেওয়ান সাজিদ আফজাল বলেন, “বাংলাদেশে পোর্সেলিন টাইলস এবং স্যানিটারিওয়্যারের মার্কেটে কালেকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যাওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে আমরা পরিবেশবান্ধব, দীর্ঘস্থায়ী ও উদ্ভাবনী পণ্য এবং সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা বরাবর নিবেদিতপ্রাণ। কালের ইপিডি সার্টিফিকেশন নিঃসন্দেহে স্থপতিদের এবং নকশাকারদের জন্য যুগান্তকারী মাত্রা যোগ করবে।” কালের তুরস্কের প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
সিরামিক টাইলস, স্যানিটারি ওয়্যার এবং বাথরুম ফিটিংস ক্যাটাগরিতে সাড়ে ৪ হাজারেরও বেশি আকর্ষণীয় পণ্যের পাশাপাশি প্রতি বছর দুই শতাধিক নতুন পণ্য নিয়ে আসে এই প্রতিষ্ঠানটি। ৮৬টি দেশে বিস্তৃত এই কোম্পানিটি বিশ্বের সিরামিক শিল্পে আস্থার এক অন্য নাম। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org