দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে আপনিও ভরসা রাখতে পারেন কালোজিরার উপর। তবে ওজন ঝরাতে কালোজিরা খাবেন কীভাবে?
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কালোজিরার ব্যবহার রয়েছে। তবে এই কালোজিরায় রান্নার ফোড়ন দিলে রান্নায় একটা আলাদা স্বাদ আসে। রান্নায় স্বাদ আনা ছাড়াও কালোজিরা আরও যত্ন নেয় শরীরের। কালোজিরা শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। রক্তচাপের মাত্রা বজায় রাখতে কালোজিরার জুড়ি নেই। তবে ওজন কমাতে কালোজিরা সত্যিই দারুণ কার্যকরী। রোগা হতে অনেকেই ডায়েট, শরীরচর্চাও করে থাকেন। তবে সেগুলো হলো দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতি। সে সবের তুলনায় দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে আপনি ভরসা রাখতে পারেন কালোজিরার উপর। ওজন ঝরাতে কালোজিরা খাবেন কীভাবে? সেটি আজ জেনে নিন।
কালোজিরা ও হলুদ
ওজন ঝরাতে কালোজিরা একাই একশো। তবে সঙ্গে যদি থাকে হলুদ, তাহলে ওজন কমবে আরও দ্রুত। কালোজিরার গুঁড়ো করে তারসঙ্গে একটু হলুদ মিশিয়ে গরমপানিতে গুলে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
কালোজিরা ও মধু
ওজন ঝরাতে গরমপানিতে পাতিলেবুর রস ও মধু খান অনেকেই। তবে কালোজিরাও কম উপকারী নয়। প্রথমে কালোজিরা গুঁড়ো করে নিন। ঈষদুষ্ণ গরমপানিতে কালোজিরা গুঁড়ো ও মধু মিশিয়ে খালিপেটে খান। এক দিন অন্তর অন্তর খেলে জমে থাকা বাড়তি ফ্যাট খুব দ্রুত গলে যাবে।
কালোজিরা ও পাতিলেবু
কালোজিরা ও পাতিলেবু মেদ ঝরাতে এই দুটোই বেশ কার্যকরী। কালোজিরা গুঁড়া করে পাতিলেবুর রসের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি খালিপেটে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। দ্রুত ওজন ঝরাতে চাইলে তাই ভরসা রাখতে পারে এই পানীয়ের উপর। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org