দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনন্ত জলিল ২৩ কোটি বাজেটের ‘অপারেশন জ্যাকপট’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন।
লুঙ্গি গামছা পরে গত সপ্তাহে শুটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। এবার আরেক লুকে হাজির হচ্ছেন তিনি। কয়েকটি ছবি নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করে অনন্ত জলিল জানিয়েছেন, তিনি এই লুকেই ছবিতে হাজির হবেন।
‘অপারেশন জ্যাকপট’ সিনেমাতে ক্যাপ্টেন ওয়াহিদের চরিত্রে দেখা যাবে অনন্ত জলিলকে। যিনি ১৯৭১ সালে নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিলেন। ইতিপূর্বে অনন্ত জানিয়েছেন, ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে তাকে এমন গেটআপে দেখেননি কোনো দর্শকরা। তাই এই ওয়াহিদ চরিত্রটি তার দর্শকদের জন্য বিশেষ চমক হিসেবেই থাকছে।
অনন্ত জলিল বলেন, ইতিহাসকে তুলে আনার জন্য এই সিনেমাটি করছি। এন্টারটেইনমেন্টের মাধ্যমে দর্শকরা ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন। এটি দেখে দর্শকরাও প্রাউড ফিল করবে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন নৌ সেক্টরের পরিচালনায় সফলতম গেরিলা অপারেশন ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামে পরিচিত। এই অপারেশন ৭১-এর ১৫ আগস্ট রাত ১২টার পর অর্থাৎ ১৬ আগস্ট প্রথম প্রহরেই চট্টগ্রাম, মংলা সমুদ্র বন্দর ও চাঁদপুর এবং নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে একই সময় পরিচালিত হয়।
অনন্ত জলিল ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, কাজী হায়াত, নিপুণ, ওমর সানী, নিরব, ইমন, রেবেকা, রোশান, অমিত হাসান, আমান রেজা, শিমুল খান, শহিদুল ইসলাম সাচ্চু, খোরশেদ আলম খসরু, সাঞ্জু জন, শিপন মিত্র, জয় চৌধুরীসহ অনেকেই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org