দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুক্তির দীর্ঘ ৬ বছর আগেই শুরু হলো ‘অ্যাভাটার ফোর’র শুটিং। ২০২৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে ‘অ্যাভাটার থ্রি। আর ‘অ্যাভাটার ফোর’ দেখার জন্য দর্শকদের অপেক্ষা করতে হবে আরও ৬ বছর!
সিনেমাটির অভিনেতা স্টেফেন লাং খবরটি নিশ্চিত করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেন তিনি সেখানে জানিয়েছেন, ‘অ্যাভাটার ফোর’-এর শুটিং ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। অভিনেতাকে একটি মোশন ক্যাপচার স্যুট পরে থাকতে দেখা যায় যেখানে লেখা রয়েছে সিনেমায় তার চরিত্রটির নাম। আর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘ডেজা ব্লু অল ওভার এগেইন’।
তবে দেরি থাকলেও ‘অ্যাভাটার ফোর’-এর শুটিং শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ভক্তরা। এক ভক্ত লিখেছেন যে, ‘দুই বিলিয়নের ছবি আসছে’। আরেকজন লিখেছেন যে, ‘প্রায় ৬ বছর বাকি’। আরেকজনের মন্তব্য, ‘অতোদিন হয়তো পৃথিবীও টিকে থাকবে না’।
কয়েক সপ্তাহ আগে পিপল ম্যাগাজিনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেমস ক্যামেরন বলেছেন যে, তিনি ‘অ্যাভাটার ফোর’ সিনেমার বেশ কিছু অংশের শুটিং শেষও করে ফেলেছেন। কিছু অংশের কাজ বাকি থাকবে যেগুলো তৃতীয় কিস্তি মুক্তির পরই করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে মুক্তি পায় অ্যাভাটার সিরিজের প্রথম সিনেমা। ছবিটি পুরো বিশ্ব কাঁপিয়ে দেয়। দ্বিতীয় সিনেমা ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ মুক্তি পায় ২০২২-এর ডিসেম্বর মাসে। প্রথম পর্বের মতো এটি নিয়েও দর্শকদের উন্মাদনাও ব্যাপক ছিল। অ্যাভাটার সিরিজের তৃতীয় এবং চতুর্থ সিনেমা নিয়েও দর্শকদের কৌতূহলের যেনো শেষ নেই।
তথ্যসূত্র : কইমই।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org