দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টেলিভিশনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্ববাজারে নিজেদের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিকস- জানিয়েছে বাজার গবেষণা সংস্থা ওমডিয়া।
প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এবং সেরা উদ্ভাবনীর সমন্বয়ে বাজারে প্রতিনিয়ত অত্যাধুনিক মডেলের টেলিভিশন নিয়ে আসছে স্যামসাং। দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্র্যান্ডটি ২০০৬ সাল হতে বিশ্ববাজারে শ্রেষ্ঠত্বের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে।
মূলত প্রিমিয়াম লার্জ-স্ক্রিন ক্যাটাগরি টিভিতে অগ্রাধিকার দানই স্যামসাংয়ের সাফল্যের মূলসূত্র, যার সেরা উদাহরণ হিসেবে ব্র্যান্ডটির কিউএলইডি এবং ওএলইডি মডেলের লাইনআপগুলো উল্লেখ করা যেতে পারে। ২০১৭ সালে সর্বপ্রথম চালু হয় স্যামসাং কিউএলইডি টিভি লাইনআপ, যার সাম্প্রতিক সংযোজন দূর্দান্ত কয়েকটি নিও কিউএলইডি মডেল যেগুলোর তুমুল জনপ্রিয়তা স্যামসাংকে -এর শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে সাহায্য করেছে।
এই অনন্য মাইলফলক অর্জনে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ডিভিশনের ডিরেক্টর ও হেড অব বিজনেস শাহরিয়ার বিন লুৎফর বলেন, “বিশ্ববাজারে এমন অসাধারণ স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে আমাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও উদ্ভাবনীর সাথে কাজ করে যাওয়ার স্পৃহা আরও বাড়িয়ে তোলে ও সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে। গ্রাহকদের টিভি দেখার অভিজ্ঞতাকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলতে ভবিষ্যতেও আমরা একটি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী”।
নিজেদের প্রতিটি সেগমেন্টে ভিন্ন ভিন্ন সাইজ এবং মডেলের টেলিভিশনের বিপুল সমাহার নিশ্চিত করেছে দেশের প্রথম ও একমাত্র টিভি সুপারব্র্যান্ড স্যামসাং। সেইসঙ্গে, গ্লোবাল ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশে স্যামসাং-এর আউটলেট কভারেজ অনেক ভালো।
৭৫-ইঞ্চি’র বড় ও ২৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি দামের প্রিমিয়াম টিভি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখছে স্যামসাং। প্রতিষ্ঠানটি ২৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি দামের টেলিভিশনের বাজারে ৬০.৫ শতাংশ বাজার হিস্যা অর্জন করেছে। সেইসঙ্গে, ৭৫-ইঞ্চি’র বড় টেলিভিশনের বাজারে ৩৩.৯ শতাংশ হিস্যা নিয়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে তারা।
সিইএস ২০২৪-এ স্যামসাং তাদের যুগান্তকারী এনকিউ৮ এআই জেন৩ প্রসেসর উন্মোচন করে, যা রীতিমতো এআই স্ক্রিন যুগের সূচনা ঘটায়। টাইজেন ওএস-চালিত অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে এআই স্ক্রিনকে স্মার্ট হোম ব্যবস্থার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে স্যামসাং। চিপসেট এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতার এই অগ্রগতি স্মার্ট টিভির ধারণাকে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করবে বলে আত্মবিশ্বাসী স্যামসাং।
২০২৪ সাল স্যামসাংয়ের জন্য সফল উদ্ভাবনী প্রদর্শনের আরেকটি বছর হতে চলেছে। প্রসেসর ও এআই বৈশিষ্ট্যের অগ্রগতির পাশাপাশি বিনোদনকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা ও টেলিভিশন খাতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে স্যামসাং।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org