দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমাদের যেহেতু খাবারের উপর তেমন কোনো কড়াকড়ি থাকে না, নিজের সময়-সুবিধা মতো এই ডায়েট করা যায়, তাই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বর্তমানে অনেক বেশি। তবে মেদ ঝরাতে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করালে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
আমরা জানি রোগা হওয়ার অনেকে মন্ত্রই রয়েছে। তবে কার জন্য কোনটি প্রযোজ্য তা অনেকটা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপরে। এই প্রজন্মের স্বাস্থ্য সচেতনরা অনেকেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কিংবা টাইম রেস্ট্রিকটিভ ইটিং পদ্ধতির উপরেই বেশি ভরসা করেন। কারণ হলো, এই ডায়েটে খাওয়া-দাওয়ার উপর বিশেষ কোনো কড়াকড়ি থাকে না। শুধু ১৪ হতে ১৬ ঘণ্টা একটানা উপোস করে কাটাতে হয়। বাকি সময়টুকু হলো ‘ইটিং উইন্ডো’। যেহেতু খাবারের উপর তেমন কোনো কড়াকড়ি থাকে না, নিজের সময়-সুবিধা মতো এই ডায়েট করা যায়, তাই এই পদ্ধতির জনপ্রিয়তাই যেনো বেশি। কিন্তু ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার কিছু প্রতিকূলতাও রয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক পর্যায়ের একটি গবেষণা থেকে দেখা যায় যে, এই ধরনের ডায়েট যারা মেনে চলেন, তাদের মধ্যে হৃদযন্ত্র এবং শিরা-ধমনীর অর্থাৎ কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের বাড়বাড়ন্তও দেখা যাচ্ছে। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন যে, সব কিছুরই তো ভালো-মন্দ রয়েছে। সেই সমস্ত বিষয় জেনে নিয়ে তবেই এগিয়ে যাওয়া উচিত। এছাড়াও সব ধরনের ডায়েট সকলের উপযুক্ত নয়। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ধরনের ডায়েট করা উচিত নয়।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে কোন কোন বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে?
আপনি কতোক্ষণ উপোস করছেন
প্রতিদিন উপোস করার সময়সীমা যেনো নির্দিষ্ট থাকে। এক দিন একটু কম সময় হলো বলে অন্যদিন ১৮ ঘণ্টা উপোস করে ফেললেন- এমনটি করলে চলবে না। খাবার খাওয়ার সময়সীমা যেমন- নির্দিষ্ট, তেমন উপোস করার সময় যেনো ঠিক থাকে।
খাবার খাওয়ার উইন্ডো
আসলে খাবারে তেমন কোনও বিধিনিষেধ না থাকলেও ইটিং উইন্ডো যখন খোলা রয়েছে, তখন কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কম ক্যালোরি-যুক্ত খাবার খাওয়াই ভালো। যে সমস্ত খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, সেগুলো ডায়েটে রাখা যেতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি খাচ্ছেন তো?
আপনি যে ধরনের ডায়েটই করুন না কেনো, বিপাকহার ভালো রাখতে হলে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া দরকার। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং সংক্রান্ত অনেক বিপদই এড়ানো সম্ভব হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org