দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইত্যাদি মানেই দর্শকদের মধ্যে চরম এক আগ্রহ। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ইত্যাদি দেশের সাধারণ মানুষের হৃদয়ে গেঁথে গেছে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদি। প্রতিবারের মতো এবারের ঈদ ইত্যাদিতেও থাকছে বিদেশিদের নিয়ে চমক।
বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে আমাদের লোকজ সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে নিয়মিতভাবে ইত্যাদিতে তুলে ধরছেন দেশের বরেণ্য নির্মাতা হানিফ সংকেত। যাদের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ইত্যাদির পর্বে বিদেশিরা তাদের মাতৃভাষার বদলে বাংলা ভাষায় গ্রামের সহজ সরল মানুষের চরিত্রে অভিনয় করে থাকে।
ঢাকায় বসবাসরত বিদেশিদের কাছে হানিফ সংকেত এবং ইত্যাদি যেনো দু’টি প্রিয় নাম। এই দেশে না থাকলেও বিদেশিরা তাদের বন্ধু-বান্ধব এবং নতুন সহকর্মীদের ইত্যাদির এই পর্বটির বিষয়ে উৎসাহিত করেন। বিদেশিরা মনে করেন যে, এটি তাদের জীবনে একটি নতুন অভিজ্ঞতা এবং অন্যরকম আনন্দ। যা মানুষকে সচেতন করতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই তারা উৎসাহের সঙ্গে এই পর্বটির জন্য অপেক্ষা করেন ও অংশগ্রহণও করেন।
এছাড়াও ইত্যাদি প্রচারের পর ইত্যাদিতে অংশগ্রহণ করা বিদেশিরা বাইরে বের হলেই দর্শকরা যখন তাদের চিনতে পারেন, তাদের করা চরিত্র নিয়ে সুন্দর সুন্দর মন্তব্যও করেন- তখন কিন্তু তাদের ভালো লাগে। একটি অনুষ্ঠানের ছোট্ট একটি পর্বে স্বল্প সময়ের উপস্থিতিতে তাদের এই পরিচিতি তাদেরকে বিস্মিত করে এবং আনন্দিত করে।
বাজারে কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ও প্রান্তিক কৃষকদের নানা সমস্যার উপর করা হয়েছে এবারের এই পর্ব। সেইসঙ্গে রয়েছে বিদেশিদের অংশগ্রহণে একটি গানের সঙ্গে চমৎকার নৃত্য।
অন্যান্য পর্বের মতো এবারও ঈদের বিশেষ ইত্যাদি একযোগে বিটিভি এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত হবে ঈদের পরদিন কেয়া কসমেটিক্সের সৌজন্যে রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org