দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের প্রথম চার টেরাবাইটের এসডি কার্ড বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে মার্কিন স্টোরেজ কোম্পানি ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল। আর এটি আসতে পারে ২০২৫ সালে।
এদিকে, আগামী সপ্তাহে পণ্যটির সরাসরি নমুনা দেখানোর ঘোষণাও দিয়েছে মেমোরি কার্ড নির্মাতা কোম্পানিটি।
ওই এসডি কার্ডে ব্যবহার করা হয়েছে অলাভজনক সংস্থা এসডি অ্যাসোসিয়েশনের ‘সিকিওর ডিজিটাল আল্ট্রা ক্যাপাসিটি (এসডিইউসি)’ মানদণ্ড। যেখানে নিজস্ব ‘স্যানডিস্ক’ ব্র্যান্ডের অধীনে এটি বাজারে আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কোম্পানিটি।
মিডিয়া এবং বিনোদন খাতের বিভিন্ন জটিল কাজ যেমন ক্যামেরা ও ল্যাপটপ দিয়ে উচ্চ ফ্রেমরেটে ভালো রেজ্যুলেশনে ভিডিও রাখা যাবে এই কার্ডে।
এই বিশাল জায়গাওয়ালা কার্ডে আরও ব্যবহার করা হচ্ছে ‘আল্ট্রা হাই স্পিড-১’ (ইউএইচএস-১) বাস ইন্টারফেইস, যেখানে তাত্ত্বিকভাবে সর্বোচ্চ ট্রান্সফার রেট পাওয়া যেতে পারে পারে সেকেন্ডে ১০৪ মেগাবাইট পর্যন্ত। আর এতে লেখার গতি থাকবে সেকেন্ডে ১০ মেগাবাইট পর্যন্ত! কোনো কিছু ক্রমান্বয়ে লেখার ক্ষেত্রে এর সর্বনিম্ন গতি বেড়ে যেতে পারে সেকেন্ডে ৩০ মেগাবাইট পর্যন্তও।
এতো সুবিধার মাধ্যমে আসন্ন এসডি কার্ডটিতে ৮কে’সহ ‘স্টোরেজ খেকো’ বিভিন্ন ভিডিও ফরম্যাট সমর্থনের সম্ভাবনা থাকলেও এটি ৮কে রেজ্যুলেশনের ভিডিও রেকর্ডিং সমর্থনের মতো যথেষ্ট দ্রুত নয়।
এসডি কার্ডটির দাম সম্পর্কে অবশ্য কিছুই বলেনি কোম্পানিটি। তবে পেশাজীবী কনটেন্ট নির্মাতাদের দর্শকদের কথা বিবেচনায় নিলে এটি সম্ভবত ‘প্রিমিয়াম’ মূল্যের আওতায় পড়বে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বর্তমানে স্যানডিস্কের ‘এক্সট্রিম প্রো এসডিএক্সসি ইউএইচএস-১’ কার্ডের এক টেরাবাইট সংস্করণের খুচরা মূল্য হলো ১৪০ ডলার।
এই মুহূর্তে বাজারে বিক্রি করা বিভিন্ন এসডি কার্ডে সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা হলো এক টেরাবাইট। এই সপ্তাহে ‘স্যানডিস্ক এক্সট্রিম প্রো এসডিএক্সসি ইউএইচসি-১’ মেমোরি কার্ডের দুই টেরাবাইটের সংস্করণ আনার ঘোষণাও দিয়েছে ওয়েস্টার্ন ডিজিটাল। ওয়েস্টার্ন ডিজিটালের এমন ঘোষণায় এসডি কার্ড শিল্পে সর্বোচ্চ শিখরের কাছাকাছি পৌঁছানোর সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে পেশাজীবীদের জন্য, যারা উচ্চ রেজ্যুলেশনের মিডিয়া ফরম্যাট নিয়ে কাজ করে আসছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org