দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের বহুল আলোচিত সিনেমা ‘পিংক’ এর নির্মাতা অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ‘কড়ক সিং’ দিয়ে গত বছর বলিউডে পা রাখেন দুই বাংলার জনপ্রিয় চিত্রতারকা জয়া। এই নির্মাতার পরের সিনেমাতেও দেখা যাবে জয়াকে। তবে সিনেমাটি নির্মিত হবে বাংলা ভাষায়।
অনিরুদ্ধ রায় কলকাতার একজন নির্মাতা। ইতিমধ্যেই বলিউডে বেশকিছু সিনেমা নির্মাণ করে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। বাংলা ভাষাতেও তার বেশকিছু আলোচিত সিনেমা রয়েছে। সর্বশেষ এই নির্মাতা বাংলা ভাষায় নির্মাণ করেন ‘বুনোহাঁস’।
সেই ছবির প্রায় ১০ বছর পর নতুন বাংলা সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দিলেন। সিনেমার নাম ‘ডিয়ার মা’। যেখানে মূখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে জয়াকে। সেইসঙ্গে সিনেমাটিতে রয়েছেন পশ্চিম বাংলার বেশ কয়েকজন গুণী মুখ। যারমধ্যে রয়েছেন চন্দন রায় সান্যাল, ধৃতিমান ও শাশ্বত।
বলিউডে সফল নির্মাতার হঠাৎ টালিউডে ফেরার ইচ্ছে নিয়ে পশ্চিমবাংলার শীর্ষ দৈনিক আনন্দ বাজার পত্রিকাকে অনিরুদ্ধ বলেছেন, “আসলে কিছু কিছু গল্প থাকে, যেগুলো নিজের ভাষাতেই বলতে ইচ্ছে করে। ‘ডিয়ার মা’ তেমনই একটি কাহিনী। হিন্দিতে ছবি করলেও, বাংলা সব সময়ই মনের কাছাকাছিই ছিল। আমি আগামী দিনেও হিন্দি, বাংলা দুই ভাষাতে কাজ করবো।”
এই সিনেমাটির বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মাতা বলেছেন, “রক্তের সম্পর্কের চেয়েও ভালোবাসার সম্পর্ক অনেক বেশি জোরালো হয়। মেয়েকে বড় করার মধ্যদিয়ে মায়ের জীবনের একটি উত্তরণ হয়, সেটি পরিপূর্ণ হয়। আমরা কাছের মানুষের ওপরই অধিকার বোধ জাহির করি। আসলে কারও ওপরই অধিকার ফলানো যায় না। মানবিক সম্পর্কের সূক্ষ্ম কিছু মোচড় উঠে আসবে এই ‘ডিয়ার মা’ সিনেমাতে।”
সিনেমাটিতে নাম চরিত্রটির ভূমিকায় অভিনয় করছেন জয়া। এই বিষয়ে জয়া বলেন,“এই গল্পটা আগে কখনও বলা হয়নি। তাই এটা পর্দায় বলা খুবই জরুরি ছিল। এই ধরনের চরিত্রও আমি আগে কখনও করিনি। টোনিদা (অনিরুদ্ধ) সংবেদনশীলভাবে গল্প বলেন, যেটি আমার খুবই ভালো লাগে।”
জানা গেছে, শীঘ্রই শুরু হবে শুটিং। এই মুহূর্তে কলকাতায় চলছে সিনেমাটির ওয়ার্কশপ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org