দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা হয়তো ডায়াবেটিস কোলেস্টেরলেরকে বেশি ভয় পায়। অপরদিকে ইউরিক অ্যাসিডকে পাত্তায় দেয় না। অথচ ইউরিক অ্যাসিডের কারণেও জীবনযাপনে চলে আসে নানা রকম বিধিনিষেধ। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। কোন সেই খাবার?
বর্তমানে ঘরে ঘরে হাঁটু ব্যথা, পায়ে ব্যথা লেগেই থাকে। আগে এমন সমস্যা হলে বলা হলো বাতের ব্যথা। এখন বেশ গম্ভীর মুখ করে আমরা বলে থাকি, ইউরিক আ্যসিড বেড়েছে মনে হয়। তাহলে আপনি কী করবেন! সত্যিই কী আপনার ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে? যদি বেড়েই যায় তাহলে সব খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে বসে থাকবেন? তা তো আর সম্ভব নয়। এতোদিন জেনে এসেছেন, ইউরিক অ্যাসিড হলেই টোম্যাটো, ঢ্যাঁড়স, মুসুর ডালসহ অন্য অনেক খাবার আপনার তালিকায় রাখা চলবে না। আজ জেনে নিন, আরও কিছু খাবার রয়েছে যা নিয়মিত খেলে ইউরিক অ্যাসিড চড়চড় করে বেড়ে যেতে পারে।
# রুটি ও ভাত উভয়ের মধ্যেই থাকে। তাই ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে ময়দা, চাল, চিনি, ব্রেড, কুকিজ, কেক এইসব এড়িয়ে যেতে হবে।
# সামুদ্রিক মাছের মধ্যে পিউরিন অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। তাই সার্ডিন, টুনা এইসব মাছ এড়িয়ে চলতে পারলেই ভালো। সামুদ্রিক কাঁকরা, চিংড়িও না খাওয়াই ভালো।
# মদ্যপান করা যাবে না। নিয়মিত মদ্যপান করলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাবে।
# ইউরিক অ্যাসিডে যদি লাগাম টানতে হয়, তাহলে প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া আপনাকে ছাড়তে হবে। দোকান থেকে কেনা বার্গার, সসেজ়, পিৎজ়া প্রতিদিন খেতে শুরু করলেই ঘটবে বিপদ।
# কোমল পানীয়, বেশি চিনি দেওয়া পানীয় না খাওয়াই ভালো। বাজারচলতি হেলথ ড্রিঙ্কসও না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।
# শাকসব্জি খান, তবে মটরশুটি, ফুলকপি, পালংশাক এড়িয়ে চলতে হবে। এগুলোতে আপনার ইউরিক অ্যাসিড আরও বেড়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org