দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকের রাতে ঘুম আসে না। তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের আগে কিছু কাজ অনিদ্রার কারণও হতে পারে। তাই শান্তিতে ঘুমোতে চাইলে ঘুমোনোর আগে সেগুলো না করাই ভালো।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই অফিস যেতে হবে। এরপর সারাদিন সেখানে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হবে। রাতে বাড়ি ফিরে বিছানায় গড়াতেই ঘুমের রাজ্যে পাড়ি দেওয়া দরকার। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটি হয় না। বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করেও অনিদ্রায় কাটিয়ে দিতে হয় অনেক সময়। ঘুম না আসার সমস্যা অনেকের রয়েছে। তবে এর কারণ যে সব সময়ই শারীরিক, তা নাও হতে পারে। ঘুমের আগে কিছু কাজ অনিদ্রার কারণও হতে পারে। তাই শান্তিতে ঘুমোতে চাইলে ঘুমোনোর আগে কিছু কাজ না করাই ভালো।
মোবাইল নিয়ে খুটখাট করা
রাতে বিছানায় শুয়ে মোবাইল ঘাঁটার অভ্যাস অনেকের রয়েছে। তাতে অনেক বিনোদন পাওয়া গেলেও এই অভ্যাস শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। ঘুমোনোর আগে যন্ত্রের সঙ্গে থাকলে অনিদ্রার সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ঘণ্টাখানেক পূর্বে মোবাইল দূরে রেখে দেওয়াই ভালো।
ভারি খাবার খাওয়া
রাতে ঘুম না আসার আরও একটি কারণ হলো ভারি খাবার খাওয়া। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হোক বা শান্তিতে ঘুমোতেই হোক— রাতে সব সময় হালকা খাবার খাওয়া ভালো। তাতে বিপাকক্রিয়াও ভালো হয়। ভারি খাবার খেলে হজমের গোলমালও দেখা যায়। হজমজনিত সমস্যার কারণে ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটতে পারে।
রাতে শরীরচর্চা
ব্যায়াম করার আদর্শ সময়ই হল সকালবেলা। তবে অফিস বের হওয়ার সময় তা়ড়াহুড়ো ও ব্যস্ততার কারণে সকালের দিকে শরীরচর্চার সময়ই পান না অনেকেই। তাই অফিস থেকে ফিরেই রাতের দিকে শরীরচর্চা করেন। তাতে আবার হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে কায়িক পরিশ্রম হয়, এমন কাজ না করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org