দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বের জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট নেটফ্লিক্স বাংলাদেশে পাসওয়ার্ড শেয়ার বন্ধ করে দিলো। এখন থেকে এক বাড়িতে এক পরিবারের বাইরে ব্যবহার করা যাবে না নেটফ্লিক্স।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানা যায়, বাংলাদেশে নেটফ্লিক্সের শেয়ারড গ্রাহকরা এখন থেকে আর দেখতে পারবেন না। তারা নেটফ্লিক্স হাউজহোল্ড সেটআপের শিকারও হচ্ছেন। টিভির স্ক্রিনে মেসেজ আসছে যে, ইউর টিভি ইজ নট পার্ট অফ দ্য নেটফ্লিক্স হাউজহোল্টড ফর দিস অ্যা’কাউন্ট।
নেটফ্লিক্স বলছে যে, এই মেসেজটির অর্থ হলো নেটফ্লিক্স আপনার টিভিকে আপনার নেটফ্লিক্স পরিবারের সঙ্গে সংযুক্তও করতে পারেনি। আপনি যদি এমন একটি ডিভাইস হতে নেটফ্লিক্সে সাইন ইন করেন যা আপনার নেটফ্লিক্স পরিবারের অংশই নয়, তাহলে নেটফ্লিক্স দেখার জন্য আপনাকে আপনার ডিভাইসটি যাচাই করতেও হতে পারে।
নেটফ্লিক্স আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে থাকা দর্শকদের জন্য তাদের সেবা শুরু করেছিলো ২০১৬ সালে। এই প্ল্যাটফর্মে যে কোনো স্থান থেকেই টিভি শো, মুভিসহ বিভিন্ন কনটেন্ট উপভোগও করতে পারেন নিবন্ধিত গ্রাহকরা। সেজন্য প্রতিমাসে গুণতে হয় ২.৯৯ হতে ৯.৯৯ ডলারের মতো।
নেটফ্লিক্সের একটি প্রিমিয়াম অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে পৃথক পৃথক ডিভাইস থেকে একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারজন ব্যবহারকারী ভিডিও দেখতে পারেন। তবে ব্যবহারকারীদের মধ্যে কেও কেও একজনের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড শেয়ার করে একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করেন। এখন থেকে সেটি সম্ভব নয়।
নেটফ্লিক্সের পরিষেবার শর্ত অনুসারে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাদের অ্যাকাউন্ট শেয়ার করতে পারবেন।
গতবছর মে মাসের দিকে পাসওয়ার্ড শেয়ারিং বন্ধের ঘোষণা দেয় নেটফ্লিক্স। তখন প্রাথমিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে পাসওয়ার্ড শেয়ারিং বন্ধ করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে শেয়ার করা যেতো।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org