দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের অন্যতম কমেডি সিনেমার তালিকায় প্রথম দিকেই উঠে আসে ‘হাউসফুল’-এর নাম। ২০১০ সালে মুক্তি পেয়েছিল হাউসফুলের প্রথম পর্বটি।
সিনেমাটি হিট হওয়ার পর দুই বছরের মাথায় আসে ‘হাউসফুল টু’। এটিও আলোচিত হয় ব্যাপক। ২০১৬ সালে ‘হাউসফুল থ্রি’ ও ২০১৯ সালে আসে সর্বশেষ পর্ব ‘হাউসফুল ফোর’।
বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই চার কিস্তির সিনেমা ৮০০ কোটি রুপিরও বেশি আয় করে। চারটি সিনেমা তৈরি হয়েছে পৃথক গল্পে, তবে প্রতিটি সিনেমাই ছিল কমেডিতে ভরপুর। মূলত নির্ভেজাল হাস্যরসের কারণে এক যুগের বেশি সময় ধরে বলিউডের আলোচিত ফ্র্যাঞ্চাইজির তালিকায় রয়েছে হাউসফুল সিনেমার নাম। এবার আসছে এই ফ্র্যাঞ্জাইজির পঞ্চম পর্ব। যা নিয়ে আসতে যাচ্ছেন প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা।
যেখানে এক সিনেমাতে থাকবেন তিন নায়ক এবং পাঁচ নায়িকা! আগেই জানানো হয়েছিলো অক্ষয় কুমার, রিতেশ দেশমুখ, অভিষেক বচ্চনের নাম। এবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিঙ্কভিলা জানিয়েছে যে, ইতিমধ্যে সিনেমায় যোগ দিয়েছেন পাঁচ জন নায়িকা। এরা হলেন জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, চিত্রাঙ্গদা সিং, নার্গিস ফাখরি, সোনম বাজওয়া এবং সৌন্দর্য শর্মা।
আজ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে লন্ডনে ৪৫ দিনের শুটিং শুরু হচ্ছে এই ছবিটির। লন্ডনের বিভিন্ন স্থানে কিছু দৃশ্যের শুটিং করা হবে। তারপর পুরো টিম এক হবেন প্রমোদতরীতে। লন্ডনের পর মুম্বাইয়েও সিনেমার একটি বড় অংশের শুটিং করা হবে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়, হাউসফুল ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে পঞ্চম পর্বের বাজেটই সবচেয়ে বেশি রাখা হয়েছে। ৩০০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হবে সিনেমাটি। তাই আয়োজনও থাকবে বড়। এই ছবিটি পরিচালনা করছেন তরুণ মনসুখানি। ২০২৫ সালের ৬ জুন মুক্তির উদ্দেশ্যেই হাউসফুল ফাইভের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org