দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হঠাৎ করে চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে গেলো। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, চুল পড়া ও দ্রুত ওজন ঝরানো— দু’টি সম্পূর্ণ পৃথক বিষয়। তবে অনেকেই হয়তো জানেনই না, এই দুইয়ের মধ্যেও যোগ রয়েছে।
দ্রুত মেদ ঝরাতে কখনও কখনও উপোস করে থাকছেন। কখনওবা ইন্টারনেট ঘেঁটে নিজের মতো খাবারের তালিকা তৈরি করেও নিচ্ছেন। কয়েক দিন ধরে অন্য একটি সমস্যাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। চুল পড়ার পরিমাণও বেড়ে গিয়েছে। এমনিতেই সারা বছর চুল পড়ে। তবে তার পরিমাণ এতো নয়। তাহলে হঠাৎ হলো কী?
এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, চুল পড়া ও দ্রুত ওজন ঝরানো— দু’টি সম্পূর্ণ পৃথক বিষয়। তবে অনেকেই হয়তো জানেনই না, এই দুইয়ের মধ্যে যোগও রয়েছে। হুট করে প্রতিদিনের ডায়েট থেকে ইচ্ছা মতো খাবার বাদ দিয়ে দিলে প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতিও থেকে যায়। যে কারণে চুল পড়ার পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে। তবে ডায়েট করেও এই সমস্যা বশে রাখা যেতে পারে। কিন্তু কীভাবে?
# পুষ্টিবিদরা বলেছেন, ডায়েটে আয়রণ- সমৃদ্ধ খাবার রাখা যেতেই পারে। তাতে চুলের ফলিকলে অক্সিজেন সরবরাহও ভালো হয়। যা নতুন চুল গজাতেও অনেক সময় সাহায্য করে। পালংশাক, ডাল, সজনেশাক কিংবা ডাঁটার মতো খাবারও আয়রণের উৎস।
# ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হলো চুলের জন্য এটি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তিসি-আখরোটের মতো খাবারে এই উপাদান প্রাকৃতিকভাবেই রয়েছে। চুলের জেল্লা ধরে রাখতেও এটি সাহায্য করে।
# পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে যেমন ওজন বেড়েও যেতে পারে, তেমনি চুল পড়ার পরিমাণও বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘুমের ঘাটতি হলে হরমোনজনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org