দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৫০ পেরোলেই অনেক সমস্যা দানা বাধে। শরীর সুস্থ রাখতে খাওয়াদাওয়ায় একটা বড় বদল আনতে হবে। শরীর সতেজ ও সচল রাখতে হলে অবশ্যই খাওয়াদাওয়া নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কীভাবে সেই কাজটি আপনি করবেন।
একটা বয়সের পর হতে শরীরে নানা রকম বদল আসতে শুরু করে দেয়। এই বদল একাধারে অন্দরের ও বাহ্যিকও বটে। এর অন্যতম কারণই হরো হরমোনের তারতম্য। হরমোনের ওঠানামায় নানা শারীরিক অসুস্থতা জাঁকিয়ে বসে মানব শরীরে। অনেকের আবার কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা দেয়। সেইসঙ্গে ডায়াবেটিসেও ভোগেন অনেকেই। তাই ৫০-এর পর শরীরের বাড়তি যত্ন নেওয়াটা জরুরি। জীবনযাত্রায় বদল আনার পাশাপাশি খাওয়াদাওয়াতেও আনতে হবে বদল। শরীর সতেজ ও সচল রাখতে হলে খাওয়াদাওয়া নিয়ে বেশ সতর্ক থাকতে হবে। কীভাবে সেটি করবেন? আজ জেনে নিন সেটি।
# শরীর ঠিক রাখার জন্য কয়েক ধরনের বাদাম খাওয়াটা জরুরি। চিনে বাদাম, কাজু, আখরোট নিয়মিত খেলে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে। সেইসঙ্গে শরীরে যাবে বেশ কিছু খনিজ পদার্থও। হৃদযন্ত্র বিশেষ যত্ন পায় এর মাধ্যমে।
# আমরা জানি সব্জিতে থাকে নানা ধরনের ভিটামিন। সেইসঙ্গে থাকে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। শাক-সব্জিতে এমনিতেই ক্যালোরির মাত্রা খুবই কম। যে কারণে এতে করে অতিরিক্ত মেদ হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। আবার পেটও ভরবে। পুষ্টি পাবে শরীর।
# এতে থাকে ভিটামিন ও ক্যালশিয়াম। এই সব ত্বক থেকে হাড়, সবকিছুর যত্ন নেয়। পঞ্চাশ পেরোনোর পরই বেশি করে ফল খেতে পারলে বেশ ভালো হবে শরীর সতেজ রাখতে। চলাফেরা, কাজকর্ম করা তখন বেশ সহজতর হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org