দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স যখন বাড়তে থাকে তখন স্নায়ুর কার্যক্ষমতাও কমতে থাকে। যে কারণে হাতের জোরও কমে যায়। তবে সাধারণ কিছু ব্যায়ামের অভ্যাস করলে মুঠোর জোর ধীরে ধীরে আবারও ফিরেও আসতে পারে।
তবে চাইলেই কিন্তু সবকিছু হাতের মুঠোয় করে ফেলা যায় না। করবেনইবা কীভাবে? হাতেতো তেমন জোরই নেই।
একটা সময়ে ৫-১০ কেজির ব্যাগ বয়ে নিয়ে আসা কোনও ব্যাপারই ছিল না। তবে এখন সামান্য পানিভর্তি একটি গ্লাসও বেশিক্ষণ ধরে থাকতে পারেন না। সাঁড়াশি দিয়ে গরম কড়াই ধরতে গিয়ে প্রায়শই হাত ফস্কেও যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটিকে ‘হ্যান্ড গ্রিপ স্ট্রেন্থ’ কিংবা ‘এইচজিএস’ বলা হয়ে থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে স্নায়ুর কার্যক্ষমতাও তখন কমতে থাকে। যে কারনে হাতের জোরও তখন কমে যায়। তবে সাধারণ কিছু ব্যায়ামের অভ্যাস করলে মুঠোর জোর ধীরে ধীরে আবারও ফিরে আসতে পারে।
টাওয়েল রিং
পানিতে ভেজানো তোয়ালে আপনাকে দু’হাত দিয়ে নিঙড়াতে হবে। একবার ঘড়ির কাঁটার দিকে, এক বার ঘড়ির কাঁটার ঠিক উল্টো দিকে ধীরে ধীরে হাতের মুঠো ঘোরাতে হবে। ৫ বার করে এই পদ্ধতি আপনাকে অভ্যাস করতে হবে।
হ্যান্ড ক্লেঞ্চ
আপনি হাতের মুঠোয় ধরা যায় এমন মাপের একটি বল নিন। স্পঞ্জের নরম বল হলে আরও ভালো হয়। এরপর হাতের মুঠোয় সেই বলটি রেখে একবার আঙুল দিয়ে বলে চাপ দিন; এরপর আবার সেটি ছেড়ে দিন। এই ব্যায়ামটি অন্তত ৫০ বার করতে পারেন।
ডেড হ্যাঙ্গ
আপনার মাথার উপর শক্তপোক্ত ধাতব কোনও রড থাকলে সেটি ধরে ঝুলে থাকতে পারেন। এরপর ধীরে ধীরে শরীরটাকে উপর দিকে তোলার চেষ্টাও করতে পারেন। শুরুর দিকে ১০ সেকেন্ডের বেশি অভ্যাস করা সম্ভব নয়। পরে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত সময় বৃদ্ধিও করতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org