দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই মনে করেন বেশি কফি খেলে ঘুম কেটে যায়। তাই কফির বিকল্প হতে পারে কয়েকটি খাবার। কফি খেয়ে জেগে থাকা মোটেও ঠিক নয়। তাই এইসব খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।
কাজ অনেক সময় অফিসে শেষ হয় না। বাড়ি ফেরার পরেও সঙ্গে থেকেই যায় কাজ। রাতভর ওই কাজ করতে হয়। রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে থাকতে বার বার কফির কাপে চুমুক দেওয়া ছাড়া তখন আর কোনো উপায় থাকে না। তবে বেশি কফি খেলে আবার ঘুম কেটেও যেতে পারে। তবে এক সময় সেটি অভ্যাসে পরিণত হয় যেটি স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। তাই কফির বিকল্পও হতে পারে কয়েকটি খাবার। কী সেইসব খাবার? আজ জেনে নিন সেই বিষয়টি।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
সসেজ, সালামির মতো চটজলদি খাবার অনেকের বাড়িতে মজুত থাকে। এগুলো বানাতে পৃথক করে কোনও সময়ই লাগে না। তবে এই ধরনের খাবার বেশি খেলে তার প্রভাবও পড়তে পারে ত্বকে। কারণ হলো এই ধরনের খাবারে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। ফ্যাট শুধু ওজন বাড়িয়ে তোলে তা কিন্তু না, ত্বকেও নানা সমস্যার জন্মও দেয়।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার
ওজন কমানোর জন্য অনেকেই অ্যাপল সাইডার ভিনেগার নিয়মিত খেয়ে থাকেন। ওজন কমানোর পাশাপাশি ঘুম তাড়াতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর। এক গ্লাস পানিতে এক টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার, এক চামচ মধু ও তুলসী পাতা যোগ করে পান করলে ঘুম উধাও হবে একেবারে নিমেষের মধ্যেই।
ডার্ক চকোলেট
প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট খেলে স্নায়ু যেমন শান্ত থাকে, সেইসঙ্গে হজম প্রক্রিয়া ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। তাছাড়াও ডার্ক চকোলেটে অনেকটা কম পরিমাণে ক্যাফিন থাকে। ঘুম পেলে শরীর চাঙ্গা রাখতে এক টুকরো ডার্ক চকোলেটে কামড় দিতে পারেন। এতে থাকে থিওব্রোমাইন যা শক্তির মাত্রা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org