দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ-এ মুক্তি পেতে যাচ্ছে জনপ্রিয় নির্মাতা রায়হান রাফীর থ্রিলার ওয়েব ফিল্ম ‘মায়া’। ৩০ সেপ্টেম্বর রায়হান রাফীর রচনা এবং পরিচালনায় নির্মিত বিঞ্জ অরজিনাল ওয়েব ফিল্মটি উপভোগ করতে পারবেন দর্শকরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে বিঞ্জ অরজিনাল ওয়েব ফিল্মটির টিজারও। পারিবারিক টানাপড়েন এবং এই সময়ের নারীদের সংগ্রামের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘মায়া’। স্বামীর অবর্তমানে নারীদের আসলে যে ধরনের চাপের মুখে পড়তে হয়, তা ফুটে উঠেছে এই টিজারে। টিজারের প্রথম দৃশ্যে দেখা যায়, মায়া থানায় এসে পুলিশকে বলছে, ‘স্যার, আমার হাজব্যান্ড নিখোঁজ।’
তারপর কয়েক ঝলকে একের পর এক রহস্যে ঘেরা এবং শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্যগুলোয় দেখা যায় জুতসই থ্রিলারের আবহ। সব মিলিয়ে টিজার প্রকাশের পর হতেই দর্শকদের আগ্রহের তুঙ্গে রয়েছে রায়হান রাফীর ওয়েব সিনেমাটি। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় নায়িকা সারিকা।
এ ছাড়াও ‘মায়া’র মাধ্যমে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভিষেক ঘটেছে অভিনেতা মামনুন ইমন। রায়হান রাফীর নির্মাণে ইমন-সারিকা জুটির এটিই হলো প্রথম কাজ।
সংবাদ মাধ্যমকে এই বিষয়ে নির্মাতা রায়হান রাফী বলেছেন, মায়া ওয়েব ফিল্মটিতে মূলত সমাজের একেবারেই রূঢ় বাস্তবতাকে তুলে ধরা হয়েছে। যে কারণে দর্শকরা খুব সহজেই এর কাহিনীর সঙ্গে নিজেদের জীবনের মিল খুঁজে পাবেন। টিজার দেখে এর কাহিনী নিয়ে অনেকেই কৌতূহল প্রকাশ করেন। আমার বিশ্বাস যে, এই ওয়েব ফিল্মটি দর্শকরাও উপভোগ করবেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org