দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ট্রেন্ডি টেক ব্যান্ড ইনফিনিক্স তরুণ প্রজন্মের দৈনন্দিন জীবনের সৃজনশীলতা, বুদ্ধিমত্তা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি এআই∞ (Infinix AI∞) চালু করেছে।
মূলত এটি পরবর্তী প্রজন্মের এআই সল্যুশনস, যার কেন্দ্রবিন্দুই হলো ফোলাক্স একটি আধুনিক ভার্চুয়াল সহকারী হিসেবে কাজ করবে। ফোলাক্সটি জিপিটি-৪০, জেমিনি ও অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে ইনফিনিক্স এর নিজস্ব এআই মডেল দিয়ে পরিচালিত। ইনফিনিক্সের এই উদ্ভাবন তরুণদের মধ্যে নতুন এক ট্রেন্ডের শুরু করতে চলেছে, যা তাদের জীবনকে সহজ এবং উন্নত করবে।
টেক্সট, ভয়েস কিংবা ইমেজ ইনপুটের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ইনফিনিক্স এআই∞-এর মাধ্যমে একটি নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা উপভোগ করবেন, যেখানে রিয়েল-টাইম ফিডব্যাক ও ব্যক্তিগত সুপারিশও পাওয়া যায়। এটি বুদ্ধিমান সৃজনশীল সহকারীর কাজ করে, যা নিত্যদিনের কাজকে আরও সহজতর, উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে মানুষের উৎপাদনশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে।
ইনফিনিক্স এআই∞-এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- লাইভ টেক্সটস, যা ছবি ও নথি হতে মুহূর্তের মধ্যে তথ্য নেয় ও সেটিকে ছোট করে। শিক্ষার্থী, প্রফেশনালস ও গবেষকদের জন্য নতুন এই প্রযুক্তি উৎপাদনশীলতা বাড়াতেও সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে লাইভ টেক্সটস∞ ডেটাকে দ্রুত এবং সংক্ষিপ্ত করে, যা ডেটা পুনরুদ্ধারকে আরও কার্যকর ও দক্ষ করে তুলবে।
বিশেষ করে যারা সৃজনশীল কাজ করতে চান, তাদের জন্য রয়েছে এআই ম্যাজিক ক্রিয়েট∞ টুল, যা ব্যবহারকারীর ধারণাকে খুব সহজেই বাস্তবে রূপান্তর করতেও সহায়তা করে। বিশেষ এই টুল আইডিয়া জেনারেশন ও সেটি পরিমার্জনের প্রক্রিয়া নির্দেশ করতে পারে। সেইসঙ্গে ম্যাজিক ক্রিয়েটের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস, স্টোরি, পোস্ট, ভিডিও কিংবা ছবির ক্যাপশন তৈরিতেও সহায়তা নেওয়া যাবে।
অপরদিকে যারা ভ্রমণপিপাসু ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর, তাদের জন্যও ভিজ্যুয়াল লুক আপ∞ ফিচারটি একটি আদর্শ গাইডলাইন হতে পারে। যেখানে বিভিন্ন নিদর্শনের ছবি, দিক নির্দেশনা, ইতিহাস, সংস্কৃতি কিংবা বিভিন্ন সাইট সম্পর্কেও বিশদ তথ্য দেওয়া থাকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org