দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, সাবেক বিশ্বসুন্দরী। বলিউডেরও একসময়ের শীর্ষ অভিনেত্রীও ছিলেন তিনি। যার রূপে, গুণে ঘায়েল হতেন লাখো তরুণ-যুবক। তার সংসার নাকি এখন ভাঙার মুখে- শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে নাকি মোটেও বনিবনা হচ্ছে না। স্বামীও নাকি খুলে ফেলেছেন বিয়ের আংটি।
এই বিতর্কিত পরিস্থিতির মধ্যে সুখবর শোনালেন এই অভিনেত্রী। তার বিরুদ্ধে আলোচনার যেনো শেষ নেই। এর মধ্যেও নিজের পেশাগত জীবনে কোনো প্রভাব যে পড়তে দিচ্ছেন না- এই খবর যেনো তারই প্রমাণ বহন করে। বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী নায়িকা হলেন ঐশ্বরিয়া। সেই খবর ঘোষণা এসেছে এই সপ্তাহে।
যদিও এই বিষয়ে অভিনেত্রীর পক্ষ হতে কোনও মন্তব্যই শোনা যায়নি। তবে এই খবর শুনে অভিনেত্রীর অনুরাগীরাও খুবই খুশি। সকলেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাকে। যদিও এই তালিকায় পয়লা নম্বরে অবশ্য রয়েছেন অন্য নায়িকা। তবে সবাইকে পিছনে ফেলে এক নম্বরে রয়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী জুহি চাওলা।
উল্লেখ্য যে, একাধিক বলিউড প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, অভিনেত্রী নিমরত কৌরের সঙ্গে নাকি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন অভিষেক বচ্চন। আর সেই জেরেই নাকি এতো কাণ্ড। তবে এখন পর্যন্ত এই সম্পর্কে কেওই কোনও কথা বলেননি।
উল্টো মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ের একটি ভিডিওতে এক ঝলক দেখাও গেছে অভিষেক-ঐশ্বরিয়া ও তাদের মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন একসঙ্গে পারিবারিক মুহূর্ত কাটাতে। কয়েক সেকেন্ডের সেই মুহূর্ত সব হিসেব নিকেশ যেনো উল্টে পাল্টে দিয়েছেন তারা। যদিও সব কিছুই এখনও ধোঁয়াশায় রয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের জীবনে কি ঘটছে, বা ঘটবে তা কিন্তু এখনও বোঝা যাচ্ছে না।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org