দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের মুম্বাইয়ে ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিং এর সময় আহত হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের সুপারস্টার শাকিব খান। শুটিং ফ্লোরের একটি দরজার সঙ্গে তার চোখের ঠিক ওপরে আঘাত লাগে।

পরিচালক মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ৭ নভেম্বর বিকেলে ঘটেছে এই ঘটনাটি। তারপর শাকিব খানকে দ্রুতই মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখানে সিটি স্ক্যান করানো হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, আপাতত ভয়ের কোনোই কারণ নেই। তবে ব্যথানাশক ওষুধও দিয়েছেন।
বর্তমানে মুম্বাইয়ের ইলোরা স্টুডিওতে চলছে ‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিং। সিনেমার পরিচালক বলেছেন, একটি দৃশ্য ছিল এমন- দরজা খুলেই বের হয়ে যাবেন শাকিব খান। সেভাবেই সব ধরনের প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। হঠাৎ সেই দরজা খুলতে গিয়েই শাকিবের কপালে আঘাত লাগে। এতে ভ্রুর কিছুটা অংশ কেটে যায়। আঘাতের সঙ্গে সঙ্গেই শুটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশেই একটি হাসপাতাল ছিল, সেখানে তাকে নিয়ে ছুটে যাই। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাই। চিকিৎসক আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ভয়ের কিছুই নেই। প্রয়োজনীয় সব ওষুধও দিয়েছেন।
‘বরবাদ’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিতে গত ২২ অক্টোবর মুম্বাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন শাকিব খান। সেখানকার একটি স্টুডিওতে ২৪ অক্টোবর হতে শুটিংয়ে অংশ নেন। প্রথম লটের শুটিং চলবে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত।
এই সিনেমায় শাকিবের বিপরীতে রয়েছে ইধিকা পাল। অ্যাকশন এবং রোমান্টিক ধাঁচের সিনেমাটি আগামী বছরের ঈদুল ফিতরে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে আগামী ১৫ নভেম্বর মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাকিব খানের ‘দরদ’। একইসঙ্গে ২০টি দেশে সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। অনন্য মামুন পরিচালিত এই সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন বলিউডের অভিনেত্রী সোনাল চৌহান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org