দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় গায়ক ও সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার। তিন দশক ধরেই সংগীতাঙ্গনে তার বিচরণ। একক, দ্বৈত, মিশ্র অ্যালবামের পাশাপাশি ব্যান্ড দলছুট ও সিনেমায় গাওয়া এবং সুর করা জনপ্রিয় অনেক গান রয়েছে বাপ্পার ঝুলিতে। বাপ্পা হাজির এবার হচ্ছেন গজল আঙ্গিকে বাংলা গান নিয়ে।

বাপ্পার নতুন এই প্রজেক্টের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অনুভব’। এতে থাকবে ৮টি গান। সব গানই লিখবেন সৈয়দ গালিব হাসান, সুর ও সংগীতায়োজন করবেন বাপ্পা মজুমদার নিজে।
বাপ্পা মজুমদার ছাড়াও অনুভব অ্যালবামের গানগুলোতে আরও যারা কণ্ঠ দেবেন তারা হলেন- সোমনুর মনির কোনাল, তানভীর আলম সজীব, ইউসুফ আহমেদ খান এবং টিনা রাসেল।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন এই প্রজেক্টের কথা জানিয়েছেন বাপ্পা মজুমদার। অ্যালবামের সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্মাতা এবং সংগীতশিল্পী মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, গীতিকার জুলফিকার রাসেল, শাহান কবন্ধ, নির্মাতা সৈকত রেজা, সংগীতশিল্পী এলিটা করিমসহ অনেকেই।
এই নতুন প্রজেক্ট নিয়ে বাপ্পা মজুমদার বলেছেন, ‘৩০ বছরের সংগীত ক্যারিয়ারে অনেক ধরনের গানই গেয়েছি। আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল গজল ঘরানার গান করার জন্য। সেই ভাবনা থেকেই আমার অনুভব অ্যালবামের পরিকল্পনা।’
অনুভবে আরও যুক্ত হতে পারেন কয়েকজন সংগীতশিল্পী। ইতিমধ্যেই এই প্রজেক্ট নিয়ে গীতিকার গালিব হাসানের সঙ্গেও কথা হয়েছে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার। বাপ্পা বলেছেন, ‘আমি চাই বিভিন্ন প্রজন্মের শিল্পীদের এই প্রজেক্টে যুক্ত করার জন্য। ইতিমধ্যে রুনা লায়লার সঙ্গে গালিব ভাইয়ের কথাও হয়েছে। তিনিও আগ্রহ দেখিয়েছেন। আশা করছি একটা গানে আমরা হয়তো তাকে পাবো।’
গত সপ্তাহে বাপ্পা মজুমদারের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে অনুভব অ্যালবামের দু’টি গান। ‘কিছু কি বলার নেই’ এবং ‘ভুল করেছি’ শিরোনামে এই দু’টি গানেই কণ্ঠ দিয়েছেন বাপ্পা। আর ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৈকত রেজা। স্পটিফাইসহ দেশি-বিদেশি অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মেও শোনা যাচ্ছে এই গান দু’টি।
বাপ্পা মজুমদার সংবাদ মাধ্যমকে আরও জানান, পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে বাকি গানগুলোও। তারপর সিডি আকারেও অনুভব অ্যালবামটি প্রকাশের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বাপ্পা বলেছেন, ‘এখন তো ফিজিক্যাল অ্যালবাম হারিয়েই গেছে। তবে আশার বিষয় হলো যে, অ্যালবামের এই প্রচলনটি আবারও ফিরে আসছে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে চাই সিডি আকারে অ্যালবামটি প্রকাশ পাক। আমরা চিন্তা করছি এই অ্যালবামটি ফিজিক্যালিই প্রকাশ করার। আমার পরবর্তী প্রজেক্টগুলোও আমি অ্যালবাম আকারেই প্রকাশ করতে চাই।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org