দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মারণব্যধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান। গত ২৮ জুন তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। স্তন ক্যান্সারের তৃতীয় গ্রেডে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অসুস্থতার খবরটি নিজেই দিয়েছেন হিনা।
ক্যান্সারের চিকিৎসা চলছে হিনার। তবে এই যন্ত্রণার মধ্যেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব এই অভিনেত্রী। প্রায় সময়ই নিজের ক্যান্সার যুদ্ধ নিয়ে বিভিন্ন রকম পোস্ট দিতে দেখা যায় তাকে, যা নিয়ে বেশ চিন্তিত থাকেন হিনার ভক্ত-অনুরাগীরাও। এবার অভিনেত্রীর একটি পোস্ট নিয়ে তোলপাড় পুরো নেটদুনিয়া।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এক নোট শেয়ার করেছেন হিনা। যেখানে তিনি লিখেছেন যে, ‘হে আল্লাহ, আমি জানি না- আমার জন্য আপনার কী পরিকল্পনা। তবে আমি সব সময়ই আপনার উপরেই বিশ্বাস রাখতে চাই। এমনকি, দুঃখ-কষ্ট এবং যন্ত্রণার মুহূর্তেও। বহু অনিশ্চয়তার মধ্যেও আমি আপনার উপর সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করি। এমন কঠিন অবস্থা হতে আমাকে বের করুন।’
এমন পোস্ট করার পর থেকেই যেনো আরও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন হিনা ভক্তরা। অনেকের ধারণা, হয়তোবা সাহস হারিয়ে ফেলছেন হিনা। কেও কেও আবার ভাবছেন, অসুস্থতাও বেড়ে যেতে পারে এই অভিনেত্রীর। অপরদিকে হিনার জন্য প্রার্থনা করতেও দেখা যায় নেটিজেনদের।
উল্লেখ্য, ছোট পর্দার অভিনেত্রী হিসেবেই খুব বেশি পরিচিত হিনা। ‘ইয়ে রিসতা ক্যায়া কেহেলাতা হ্যায়’ সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিেলেন দর্শকমহলে।
তারপর ‘কাসৌটি জিন্দেগি কি’, ‘নাগিন ৫’র মতো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন হিনা। রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’, ‘ফিয়ার ফ্যাক্টর খাতরা কে খিলাড়ি সিজন’ ৮ এবং ১৩, ‘ইন্ডিয়ান আইডল’-এও অংশ নিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। অতিথি শিল্পী হিসেবেও একাধিক ধারাবাহিকে দেখা যায় অভিনেত্রী হিনাকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org