দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়েছে। সম্পর্ক কতোটা গভীরতায় গিয়েছে এবার আরও স্পষ্ট হলো। মাস্কের মহাকাশ সংস্থা স্পেস এক্সের পরবর্তী প্রজন্মের রকেট স্টারশিপের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ দেখতে সশরীরে হাজির হন সদ্য বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা এবং ধনকুবের ইলন মাস্কের এই মহাকাশ সংস্থাটির টেক্সাসের ব্রাউনসভিলের বোকা চিকা লঞ্চপ্যাড হতে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়। যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হতে পর্যবেক্ষণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন ইলন মাস্ক।
এই স্টারশিপ মহাকাশে যাওয়ার পর আবারও পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এই সময় এটিকে আবার যথাযথভাবে লঞ্চপ্যাডে ফিরিয়ে আনার কথাও ছিল। ইতিপূর্বে পঞ্চম দফার পরীক্ষার সময় প্রথমবার এই সাফল্য পেয়েছিল স্পেস এক্স। তবে পরে কারিগরি কারণে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে স্পেস এক্স।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, স্পেস এক্স পরে স্টারশিপ বুস্টারটি ধরার পরিকল্পনা বাতিল করে। এটি সমুদ্রে পড়তে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সেটি পড়েছে মেক্সিকো উপসাগরে। এবারের এই পরীক্ষামূলক রকেট উৎক্ষেপণটি মহাকাশে প্রায় এক ঘণ্টা থাকার পরই পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এটি ভারত মহাসাগরে পড়বে।
স্পেস এক্স জানিয়েছে যে, রকেটে কোনো নভোচারীই ছিল না। তবে একটি কলা এটিতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এই স্টারশিপ নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছে ইলন মাস্ক এবং তার সংস্থা। তাদের প্রত্যাশা এই রকেটে করেই একদিন মঙ্গলগ্রহ এবং চাঁদে নভোচারী পাঠানো যাবে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org