দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক প্রৌঢ় ব্যক্তিকে দেখেই প্রবল বেগে ধেয়ে এলো এক সাইবেরিয়ান বাঘ! সেই আক্রমণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। তারপর আসলে কী ঘটলো?
তবে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে কোনও মতে রক্ষা পেলেন এক প্রৌঢ়। তার বাড়ির চৌহদ্দিতে হানা দিয়েছিল বিশালাকৃতির একটি বাঘ। লোহার গেট দিয়ে সবেই বাড়িতে ঢুকছিলেন ওই ব্যক্তি। মাত্র কয়েক মুহূর্ত পূর্বেই তিনি গেটের বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ করেই ওই ব্যক্তিকে দেখে প্রবল বেগে ধেয়ে এলো একটি সাইবেরিয়ান বাঘ। সেই আক্রমণের ভিডিওই ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। যা দেখে চমকে উঠেছেন অনেকেই। ওই ভিডিও দেখে অনেকেই মনে করছেন যে, ভাগ্যের জোরে রেহাই পেয়েছেন ওই ব্যক্তি। নেটমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের ‘ইয়েলোরিভার৪৭৮’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ওই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে।
ভাইরাল সেই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিশাল বাঘ দ্রুতগতিতে ছুটে এসে ধাক্কা মারলো লোহার গেটটিতে। গেটের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা প্রৌঢ়কে আক্রমণ করতে ছুটে আসে বাঘ মামা। লোহার গেটে বাধা পেয়ে বাঘটি ফিরে যায় ফাঁকা জমির দিকে। বাঘটি প্রচণ্ড গতিতে ছুটে এসে ধাক্কা দেওয়ার কারণে শক্তপোক্ত গেটটির এক পাশ ভেঙেও যায়। ভয় পেয়ে বাড়ির ভিতরে দৌড়ে চলে আসেন ওই প্রৌঢ়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশে। উত্তর চীনের ইলংজিয়াংয়ের একটি গ্রামে হানা দিতে শুরু করে বাঘটি। স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজটি প্রথমে চীনের নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এই ঘটনার সত্যতাও যাচাই করে। তারপর থেকে বিভিন্ন নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
যে বাঘটিকে ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, সেটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রজাতির বাঘ। রাশিয়ার পূর্বা়ঞ্চল জুড়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায় এই বাঘটিকে। তবে বর্তমানে এই বাঘটিকে বিপন্ন প্রজাতির বলে জানা যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org