দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন, ফাইবার কিংবা নানা ধরনের খনিজে ভরপুর হরেক রকম বাদাম, কিশমিশ, খেজুর, বেরি বা খোবানির মতো শুকনো ফল খেলে হালকা খিদে মিটতে পারে।
তবে সকালে খালি পেটে ভেজানো বাদাম বা ড্রাই ফ্রুট্স খান। এই খাবারগুলোই কড়াইয়ে হালকা করে নেড়ে মুচমুচে করে নিলে বিকেলে গ্রিন টি’র সঙ্গে খেতে ভালো লাগে। ভিটামিন, ফাইবার, নানা ধরনের খনিজে ভরপুর হরেক রকম বাদাম, কিশমিশ, খেজুর, বেরি বা খোবানির মতোই শুকনো ফল খেলে হালকা খিদে মিটতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে শীতে এই খাবারগুলো খাওয়ার পরামর্শও দেন পুষ্টিবিদরা। তবে কীভাবে খেলে তা শরীরের উপকারে আসবে?
পানিতে ভিজিয়ে খেলে
শুকনো ফল কিংবা বাদাম খেলে যাদের হজমের সমস্যা হয়, তাদের জন্য এই পন্থায় ভালো। শুকনো ফল পানিতে ভিজিয়ে রাখলে খোসার মধ্যে থাকা উৎসেচকগুলো সহজেই ভেঙে যায়। বাদামগুলোও নরম হয়ে যায়, এটি হজম করাও অনেকটা সহজ হবে।
শুকনো কড়ায় ভেজে খেলে
অবশ্য অনেকেই ড্রাই ফ্রুট্স, বিশেষত: বিভিন্ন রকমের বাদাম শুকনো কড়াইয়ে ভেজে খেয়ে থাকেন। নির্দিষ্ট একটি তাপমাত্রায় হালকা ভেজে নিলে ফলের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক তেল খুব সহজে নিঃসৃত হয়। মুচমুচে হলে খেতেও ভালো লাগে।
ড্রাই ফ্রুট্স কীভাবে খেলে উপকার বেশি পাবেন?
ড্রাই ফ্রুট্স কে কীভাবে খাবেন, তা নির্ভর করবে ওই ব্যক্তির হজমশক্তির উপরে। ভেজানো ড্রাই ফ্রুট্স বেশিদিন রেখে খাওয়া যায় না। সেই ক্ষেত্রে ভেবে দেখতে হবে যে, সবটা একদিনে খেয়ে ফেলবেন, নাকি তা রেখে দেবেন। ড্রাই ফ্রুট্স যদি বেশিদিন রেখে খেতে হয়, সেই ক্ষেত্রে শুকনো কড়াইয়ে ভেজে বায়ুরোধী শিশি কিংবা কৌটোয় সংরক্ষণ করতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org