দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছিপছিপে থাকার উদ্দেশ্যে একমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্যেই শান দেওয়া মোটেও নয়। ফিট থাকতেও ওজন বশে রাখা অত্যন্ত জরুরি। ওজন কমানোর সহজ পদ্ধতি জেনে নিন আজ।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যেসব সময় জিমে যেতে হবে বা কড়া ডায়েটে থাকতে হবে, তার কোনও মানেই নেই। নিয়মিত কিছু নিয়ম মেনে চললেই এমনিতেই ওজন বশে থাকবে। তবে ওজনের পাল্লা যাতে ভারি না হয়, সেজন্য দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে কোন অভ্যাসগুলো জুড়ে নেবেন?
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা
সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর একটি কাজ। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে সকাল সকাল বিছানা থেকে ওঠা জরুরি একটি কাজ। কারণ হলো হাতে অনেকটা সময় পাওয়া যায়। সারা দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নেওয়ার সময়ও পাওয়া যায়। বেশিক্ষণ ধরে শরীরচর্চা করা যায়।
নাস্তায় থাক প্রোটিন
ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণই হলো শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি। তাই সকালের নাস্তায় যেনো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার থাকে। ডিম, গ্রিক ইয়োগার্ট, প্রোটিন স্মুদি খেতেই পারেন। তাতে শরীরে বাড়তি এনার্জি চলে আসবে। যে হরমোনের কারণে ঘন ঘন খিদে পায়, সেই হরমোন নিঃসরণ কম হবে।
চিনি বর্জন
এক কথায় বলতে গেলে শরীরের শত্রু চিনি। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই। প্রতিদিন এক দানা করে চিনি খেলেও ওজন বেড়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তো রয়েছেই। অতএব, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য চিনির সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে আপনাকে। চিনি খাওয়া বন্ধ করলে. ওজন বশে রাখা অনেক সহজ হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org