দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিগত কয়েক বছর ধরে সিনেমায় খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না কলকাতার সুপারস্টার জিৎ! ক্যারিয়ারে কিছুটা হোঁচট খেয়ে খেই হারিয়ে ফেলার অবস্থার মধ্যে আবারও ঘুরে দাঁড়ালেন এই সুপারস্টার! শোনা গেলো এই প্রথমবার নেটফ্লিক্সের সিরিজে আসছেন জিৎ।

বলিউডের খ্যাতিমান নির্মাতা নীরজ পাণ্ডের ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ সিরিজ আসার ঘোষণা দিলো বিশ্বের জায়ান্ট ওটিটি মাধ্যম নেটফ্লিক্স। যেখানে প্রধান একটি চরিত্রে দেখা গেছে সুপারস্টার জিৎকে!
শুধু জিৎই নয়, সিরিজের টিজারেও দেখা গেছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়দের মতো তারকাদের নামি। সব তারকাকে একসঙ্গে দেখতে পাওয়াটা দর্শকদের জন্যও এক বিরাট ‘ট্রিট’ হতে চলেছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
সম্প্রতি ওয়েব সিরিজের টিজার প্রকাশ পেতেই বোঝা গেলো কতটা জমজমাট হতে যাচ্ছে ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’। নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশি চোখ টানছেন দুই সুপারস্টার জিৎ এবং প্রসেনজিৎ। এই প্রথম দু’জনকে পর্দায় একসঙ্গে দেখা যাবে। তবে বাংলা নয়, হিন্দি এই ওয়েব সিরিজে দেখা যাবে তাদের।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, জিৎকে দেখা যাবে পুলিশ অফিসারের ভূমিকাতে, অপরদিকে রাজনীতিবিদের চরিত্রে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আর পুলিশের ভূমিকাতে পরমব্রত। শাশ্বতকে দেখা যায় সাদা পাঞ্জাবিতে। তার ঠোঁটের কোণে চিলতে হাসিও। অপর দৃশ্যে তিনি নিজেই নিজের কপালে ঠেকাচ্ছেন পিস্তল। তাছাড়াও টিজারে দেখা যায় ঋত্বিক ভৌমিক, চিত্রাঙ্গদা সিং, আদিল জাফর খান ও মিঠুনপুত্র মিমো চক্রবর্তী ও পূজা চোপরাকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org