দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিজেদের অরেঞ্জ ক্লাব মেম্বারদের জন্য বিশেষ ছাড় সুবিধা প্রদানে দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন টিকেটিং প্ল্যাটফর্ম সহজের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক।

বাংলালিংকের বিশেষ লয়্যালটি প্রোগ্রাম অরেঞ্জ ক্লাবের মেম্বাররা দেশের সেরা সব ব্র্যান্ডের বিশেষ ছাড় সুবিধা উপভোগ করেন। এর মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে গ্রাহকদের ডিজিটাল অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করে চলেছে বাংলালিংক। সম্প্রতি, রাজধানীর গুলশানে বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় টাইগার্স ডেন -এ এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এই চুক্তির অধীনে, অরেঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা সহজের (www.shohoz.com) মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটে এয়ার টিকেট কেনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় উপভোগ করবেন।
নিজেদের বিশ্বস্ত গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা এবং স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিতেই এই অংশীদারিত্ব করেছে বাংলালিংক।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর মেহেদী আল আমিন বলেন, “গ্রাহক-কেন্দ্রিক ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে বাংলালিংক সবসময় এর বিশ্বস্ত গ্রাহকদের সেরা সব সুবিধা এবং সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের শীর্ষস্থানীয় টিকেটিং প্ল্যাটফর্মের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ছাড় সুবিধা নিশ্চিত করছি, যা তাদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আরও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করার পাশাপাশি তাদের ডিজিটাল সেবা ব্যবহারের সুযোগকে বিস্তৃত করবে।”
সহজের চিফ বিজনেস অফিসার তালাত রহিম বলেন, “সহজ বর্তমানে দেশের বৃহত্তম অনলাইন টিকেটিং প্ল্যাটফর্ম। বাংলালিংকের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা তাদের গ্রাহকদের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক আরও বিকল্প নিশ্চিত করতে চাই, যেন তারা তাদের পছন্দমতো সেবা গ্রহণ করতে পারেন। বাংলালিংক অরেঞ্জ ক্লাবের মেম্বাররা এয়ার টিকেট কেনার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা উপভোগ করবেন ও ভবিষ্যতে আমরা বাস টিকেটসহ অন্যান্য পরিষেবাকেও এই অংশীদারিত্বের আওতায় নিয়ে আসতে চাই।”
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য উদ্ভাবনী ও উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বাংলালিংক, স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি বৃদ্ধিতে ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে।
অনুষ্ঠানে বাংলালিংকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং অপারেশনসের প্রোডাক্ট এবং প্রাইসিং -এর ডেপুটি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আসিফুর রহিম, লয়্যালটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার জাইন জামান এবং লয়্যালটি পার্টনারশিপ ম্যানেজার শাহাদাত এইচ মজুমদার। অনুষ্ঠানে সহজ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ বিজনেস অফিসার তালাত রহিম, হেড অব গ্রোথ রুবিনা খান, মার্কেটিংয়ের ব্র্যান্ড অ্যান্ড কনটেন্ট লিড আদিব রুশদ তারেক এবং বিজনেস গ্রোথের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ নাবিলা বিনতে আলি। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org