দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়ছে। এটি পরিবহণ ব্যবস্থা ও পরিবেশের জন্য একটি বড় পরিবর্তনও নিয়ে আসছে। বিশেষত: গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানো ও পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ ভূমিকাও পালন করছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ভেইভে মোবিলিটি এমন একটি ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে আসছে যা একবার চার্জ দিলেই চলবে ২৫০ কিলোমিটার পথ!
এই ইলেকট্রিক গাড়ি পাওয়া যাবে ৩টি ভ্যারিয়েন্টে- নোভা, স্টেলা এবং ভেগা। ৩ লাখ ২৫ হাজার হতে এর দাম শুরু। সবচেয়ে বেশি দামের গাড়িটির মূল্যও ৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
এই গাড়ির গতি থাকবে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। আবার গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই ০ হতে ৪০ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছানো যাবে।
সংস্থার পক্ষ হতে বলা হয়, গাড়ির ছাদে বসানো সৌর প্যানেলের সাহায্যে দৈনিক ১০ কিলোমিটার করে অতিরিক্ত গাড়িও চালনো যাবে। গাড়ির মূল্যের ক্ষেত্রে এটি নোভা, স্টেলা এবং ভেগার জন্য যথাক্রমে- ৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা এবং ৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
জানা গেছে, ব্যাটারি রেন্টাল প্ল্যান ছাড়া দাম পড়বে একইভাবে ৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ও ৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি গাড়ির আরেকটি বৈশিষ্ট্য দুটি স্ক্রিন সেটআপ। যার একটি টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্টের ও অপরটি ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার। থাকবে অ্যাপল কার প্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো কানেক্টিভিটির মতো ফিচার। সেইসঙ্গে থাকবে বাতানুকূল যন্ত্র, টু-স্পোক স্টিয়ারিং হুইল’ও।
এই গাড়ির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্যই হলো এটি বেশ সাশ্রয়ী। ব্যাটারি প্যাকের খরচ পড়বে কিলোমিটার প্রতি মাত্র ২ টাকা! নোভার ক্ষেত্রে একটি ব্যাটারিতে অন্তত ৬০০ কিলোমিটারও যাওয়া যাবে। স্টেলার ক্ষেত্রে এটি ৮০০ কিলোমিটার। অপরদিকে ভেগার ক্ষেত্রে এটি ১২০০ কিলোমিটার।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org