দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যদের জন্য বিশেষ সুবিধা নিশ্চিতে হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে দেশের উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক।
গ্রাহকদের চাহিদা এবং তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়কে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে বাংলালিংক। এক্ষেত্রে নিজেদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, অপারেটরটি এর গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন অফার নিয়ে আসে। তারই ধারাবাহিকতায়, এবার হলিডে ইন ঢাকার সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বাংলালিংক। এই অংশীদারিত্বের আওতায়, বাংলালিংকের লয়্যালটি প্রোগ্রাম ‘অরেঞ্জ ক্লাব’ -এর সদস্যরা হলিডে ইন-এর সকল ফুড ও বেভারেজ আউটলেটে ২০ শতাংশ বিশেষ ছাড় উপভোগ করবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের লয়্যালটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার জাইন জামান, প্রতিষ্ঠানটির লয়্যালটি পার্টনারশিপ ম্যানেজার শাহাদাত এইচ মজুমদার, হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের অপারেশনস ডিরেক্টর শহিদুস সাদেক তালুকদার, এর ফাইন্যান্স ও বিজনেস সাপোর্ট ডিরেক্টর মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ, মার্কেটিং এবং কমিউনিকেশন ম্যানেজার মঞ্জুফা মাসুদ চৌধুরী এবং মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ সানওয়াজ আবদুল্লাহ।
এই অংশীদারিত্ব নিয়ে বাংলালিংকের মার্কেটিং অপারেশনস ডিরেক্টর মেহেদী আল আমিন বলেন, “গ্রাহক-কেন্দ্রিক ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে আমরা সবসময় অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যদের সেবা প্রদানে নতুন মাত্রা যুক্ত করতে ও তাদের জন্য নানা সুযোগ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে, আমাদের অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যরা এখন বিশেষ ছাড়ে হলিডে ইন -এর দারুণ সব ফুড এবং বেভারেজ পণ্য উপভোগ করবেন। এই অংশীদারিত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”
হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের অপারেশনস ডিরেক্টর শহিদুস সাদেক তালুকদার বলেন, “হলিডে ইন আভিজাত্য ও স্বাচ্ছন্দ্যের অপূর্ব সমন্বয়, যা আমাদের অতিথিদের জন্য অনন্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। বাংলালিংকের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর ফলে, অরেঞ্জ ক্লাব সদস্যরা বিশেষ সুবিধা পাবেন। এখন তারা আমাদের সুস্বাদু ফুড এবং বেভারেজ পণ্য বিশেষ ছাড়ে উপভোগ করতে পারবেন।”
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org