দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইসরায়েলি হামলায় আল জাজিরার এক সাংবাদিকসহ দুই সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। ২৪ মার্চ পৃথক হামলায় নিহত হন তারা।

সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, গাজার উত্তরে বেইত লাহিয়ায় সাংবাদিকদের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করা হলে এতে বেশ কয়েকজন নিহত হন। যার মধ্যে আল জাজিরার সাংবাদিক হোসাম শাবাত অন্যতম।
হামলার পরবর্তী দৃশ্য একটি ভিডিওতে ধরা পড়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বিধ্বস্ত গাড়ির পাশে আরও অনেকের সঙ্গে সাংবাদিক হোসাম শাবাতের লাশ পড়ে রয়েছে।
এদিন মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ হতে আল জাজিরার তারেক আবু আযম বলেন, ২৩ বছর বয়সি শাবাত ইতিপূর্বে একবার ইসরায়েলি হামলায় আহত হন। তারপর সুস্থ হয়ে আবারও গাজার সংবাদ সংগ্রহে নেমে পড়েন। অবশেষে সেই ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারাতে হলো তিনি।
হোসাম শাবাত নিহত হওয়ার পূর্বে এদিনই গাজার খান ইউনিসে ‘প্যালেস্টাইন টুডে’র সাংবাদিক মোহাম্মদ মনসুরকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এদিকে আরও দুই সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) ও সেইসঙ্গে তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বানও জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হতে এ পর্যন্ত ১৭০ জনেরও বেশি সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমকর্মী নিহত হন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org