দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সজনে ডাঁটায় রয়েছে অনেক গুণ। এই সজনে ডাটায় যে যে উপাদান রয়েছে, তা অনেক স্বাস্থ্যকর খাবারকেই পিছনে ফেলে দেবে তাতে সন্দেহ নেই।
বঙ্গে বসন্ত আগমনের সময় হতেই সজনে ডাঁটার আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে বাজারে। কচি-সবুজ ডাঁটাগুলো বাজার হতে সোজা এসে হাজির হচ্ছে বাঙালিদের হেঁশেলে। মাছের পাতলা ঝোল থেকে শুরু করে বেশির ভাগ রান্নাতেই সজনে ডাঁটা থাকছে। তবে সজনে ডাঁটায় যে যে উপাদান রয়েছে, তা অনেক স্বাস্থ্যকর খাবারকেও পিছনে ফেলে দেবে।
এতে রয়েছে প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালশিয়াম,কপার, ফসফরাস রয়েছে সজনে ডাঁটায়। ঋতু ও বসন্তের এই সন্ধিক্ষণে সংক্রমণজনিত সমস্যা আরও বাড়ে। এছাড়াও গ্রীষ্মে নানা ধরনের অসুখ হানা দিতে থাকে। এইসব ঝুঁকি এড়াতে তাই সজনে ডাঁটা খাওয়ার পরামর্শও দেন পুষ্টিবিদরা। গরমে এই ডাঁটা চিবোলে কোন কোন রোগের হাত হতে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে?
ডিহাইড্রেশনেরও ঝুঁকি কমায়
ডাঁটায় পানির ভাগ বেশি থাকে। যে কারণে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন সজনে ডাঁটা। গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতেও সজনে ডাঁটার ভূমিকা এক অপরিসীম। প্রতিদিন যদি এই ডাঁটা খাওয়া যায়, তাহলে গরমে ডিহাইড্রেশনের ভয়ও কমে।
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে
পেট খারাপ হতে গ্যাস, গরমে নানা রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। শরীর হতে অত্যাধিক ঘাম বেরিয়ে যায় বলে, রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেকটা কমে যায়। সজনে ডাঁটা রোগের সঙ্গে লড়াই করারও শক্তি জোগায়। প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এছাড়াও সজনে ডাঁটায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতেও সাহায্য করে।
হজমের গোলমাল হওয়া
গরমের এই সময় প্রায় সময় হজমের গোলমাল হয়ে থাকে। সুস্থ থাকতে শুধু বাইরের খাবার খাওয়া কমালেই হবে না। সেইসঙ্গে
খেতে হবে সজনে ডাঁটা। পেটের গোলমাল ঠেকাতে এই সব্জির জুড়ি নেই। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org