দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশন (আইডিসি) ওয়ার্ল্ডওয়াইড কোয়ার্টারলি মোবাইল ফোন ট্র্যাকারের প্রাথমিক তথ্য অনুসারে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন উৎপাদকদের মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে স্যামসাং।

উল্লেখ্য যে, বিশ্বের ১০০ টিরও বেশি দেশের শত শত প্রযুক্তি বাজারের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন বাজারের আকার, ভেন্ডর সংক্রান্ত তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক পূর্বাভাস দিয়ে থাকে আইডিসি ট্র্যাকার।
বিশ্বব্যাপী চলমান বেশ কিছু দ্বন্দ্ব স্মার্টফোন বাজারের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও সংকট উত্তরণে স্মার্টফোন উৎপাদকরা ভূমিকা রাখছে। যে কারণে, এই বছরের প্রথম প্রান্তিকে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি (স্মার্টফোন সরবরাহ বিবেচনায়) অর্জন করেছে স্মার্টফোন উৎপাদকরা। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের সরবরাহ ১.৫% বৃদ্ধি (ইয়ার ওভার ইয়ার) পেয়ে ৩০৪.৯ মিলিয়ন ইউনিটে পৌঁছেছে।
অ্যাপলকে পেছনে ফেলে স্মার্টফোন সরবরাহে শীর্ষস্থান ফিরে পেয়েছে স্যামসাং। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন সরবরাহের ভিত্তিতে তৈরি করা এই তালিকার শীর্ষ পাঁচে আরও রয়েছে অ্যাপল, শাওমি, অপো এবং ভিভো। স্যামসাংয়ের এই সাফল্য মূলত গ্যালাক্সি এস২৫ প্রিমিয়াম ডিভাইস এবং মিড-রেঞ্জের গ্যালাক্সি এ সিরিজের (বিশেষ করে এ৩৬ ও এ৫৬) জনপ্রিয়তার কারণে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এই ডিভাইসগুলো সবার জন্য আরও সাশ্রয়ী মূল্যে এআই ফিচার ব্যবহার করার সুযোগও তৈরি করেছে। বৈশ্বিক মোট সরবরাহের (স্মার্টফোন) ১৯.৯ শতাংশ এখন স্যামসাংয়ের দখলে। এই বছরের প্রথম প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন সরবরাহের পরিমাণ ছিল ৬০.৬ মিলিয়ন ইউনিট।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org