দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশই হলো কিডনি। কিডনি বিকল হতে শুরু করলে তখন ভোগান্তির শেষ থাকে না। কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে দেয়।

তাই বড় কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার পূর্বেই সতর্ক হওয়াটা জরুরি। বিশেষ কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলেও কিডনির খেয়াল রাখা সমস্যার কোনো বিষয় নয়। বিশেষ করে কিডনি ভালো রাখতে খাওয়া-দাওয়ার দিকে বাড়তি নজর দেওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসক বরুণ সাহা।
তার ভাষায়, ‘কিডনি রোগের আঁচ সব সময় বাইরে থেকে পাওয়াও যায় না। ভিতরে ভিতরে রোগটি এমনভাবে জাঁকিয়ে বসে, বাইরে থেকে বোঝাই যায় না সব সময়। কিডনির ভালো-মন্দ খাবারের উপরে নির্ভর করে অনেকটা। কিছু খাবার কিডনির জন্য খুবই ভালো, আবার কিছু খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর।’ কোন খাবারগুলো কিডনির জন্য ক্ষতিকর?
লবণ
উচ্চ রক্তচাপ ছাড়াও লবণ কিডনি রোগের অন্যতম একটি কারণ। কিডনি বিকল হওয়ার পিছনে লবণের একটা বড় হাত রয়েছে। কিডনি ভালো রাখতে শুধু পাতে লবণ খাওয়া বন্ধ করলেই চলবে না। লবণ রয়েছে, এমন খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
প্রসেসড ফুড
ব্যস্ততম জীবনে চটজলদি খাবারের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। দ্রুত পেট ভরাতে ইনস্ট্যান্ট নুডলস, চিপস, ফ্রোজেন স্ন্যাক্স খেয়ে ফেলেন বেশি করে। এই ধরনের খাবার কিডনির জন্য ক্ষতিকর। কিডনি ভালো রাখতে হলে এই খাবারগুলো থেকে যতোটা সম্ভব দূরে থাকা উচিত।
চা ও কফি
অনেকেই সারাদিনে বেশ কয়েকবার চা-কফির কাপে চুমুক দেন। দিনে ১-২ কাপ খাওয়া ঠিক আছে। এর চেয়ে বেশি চা খেলে কিডনির উপর তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org