দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের বাজারে ফিলিপস, ট্রান্সফরমার, মনস্টার এবং এয়ারমার্স ব্র্যান্ডের এআইওটি (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অব থিংগস) প্রযুক্তিপণ্য আনলো আকিজ টেলিকম লিমিটেড।

এইসব পণ্য গ্রাহকদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি মোবাইল খাতের সম্প্রসারণে অবদান রাখবে বলে আশা করছে এই প্রতিষ্ঠানটি। বুধবার ঢাকার বনানী ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নতুন প্রযুক্তিপণ্যগুলো বাজারে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শেখ জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আকিজ টেলিকম লিমিটেডের সিইও জি এম কামরুল হাসান ও ওয়ানলিন টেক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে আকিজ টেলিকম লিমিটেড।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আকিজ টেলিকমের মাধ্যমে দেশের বাজারে যাত্রা শুরু করা ফিলিপস, ট্রান্সফরমার, মনস্টার এবং এয়ারমার্স ব্র্যান্ডগুলো ইতিমধ্যে স্মার্ট প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং গুণমানের জন্য বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এই ব্র্যান্ডগুলোর পণ্য বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসার লক্ষ্যে শেনজেন ওয়ানলিনের সঙ্গে আকিজ টেলিকমের এই উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয়। উদ্যোগটি দেশকে আরও স্মার্ট এবং সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’
কামরুল হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশে এই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্র্যান্ডগুলো লঞ্চ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এটি আমাদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। এই উদ্যোগ আমাদের প্রযুক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ; সেইসঙ্গে সবার জন্য স্মার্ট এবং সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রতিশ্রুতিরও প্রতিফলন। আমরা বিশ্বাস করি যে, এইসব ব্র্যান্ডের পণ্য গ্রাহকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।’
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org